‘ভোরের কাগজ’ পত্রিকার সম্পাদক এক রাতে খুন হয়ে যান হঠাৎ। লালবাজার ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি কমিশনার রজত রায় ও তাঁর বন্ধু ডিকে তদন্তে নেমে মুখোমুখি হয় অদ্ভূত শব্দ, সংখ্যা ও ধাঁধার। এমনকী প্রাচীন দুই মহাকাব্যেরও। ত্রিশ বছর গবেষণা করে এক বাঙালি গবেষক রামায়ণ-মহাভারতের গুপ্ত ভাষা ডিকোড করতে সমর্থ হয়েছেন। আবিষ্কার করেছেন ইতিহাসের অজানা কাহিনি। জাতপাত নামক ভয়ানক অভিশাপ কেন ছেয়ে আছে ভারতীয় সমাজে, জানা যায় সেই গোপন সত্য। কে প্রকৃত রাম আর কে কৃষ্ণ, জানিয়ে দেন তিনি। তাঁর পাণ্ডুলিপি যেন এক ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। এই পাণ্ডুলিপি প্রকাশিত হলে ওলটপালট হয়ে যাবে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস। এমনকী তুমুল প্রভাব পড়তে পারে ভারতের বর্তমান রাজনীতিতেও।
কিন্তু তা চায় না উগ্র-জাতীয়তাবাদী এক চক্র। অজ্ঞাত ভারতীয় ইতিহাস ও আচ্ছাদিত মহাকাব্যের মধ্যে নিহিত আসল সত্যের উন্মেষ হলে, অস্তিত্ব বিপন্ন হবে তাদেরও। ফলত, তারা পাণ্ডুলিপি ও গবেষক, দুই-ই নিকেশ করতে চায়। তারা পাঠায় এক ভয়ানক খুনিকে এই অপারেশনে। এদের হাত থেকে বাঁচতে গবেষক তাঁর পাণ্ডুলিপি নিয়ে পালাতে থাকেন।
গবেষক কি বাঁচবেন? প্রকাশ পাবে কি নতুন রামায়ণ ও মহাভারত? প্রাচীন ইতিহাস ও পুরাণ-রামায়ণ-মহাভারত তছনছ-করা আখ্যান বিন্দুবিসর্গ।
Reviews
There are no reviews yet.