প্রাচীন ভ্যাম্পায়ারের লোককথার উৎপত্তি পূর্ব ইউরোপের বুলগেরিয়া অঞ্চলে প্রায় হাজার বছর আগে। মনে করা হয় এই উপকথা এই অঞ্চলে এসে পৌঁছেছিল মঙ্গোল, চিনা ও হুন বহিরাগতদের লোককাহিনি মিশ্রিত হয়ে। আদিম স্লাভিক ভ্যাম্পায়ার ছিল অশরীরী। তাদের আক্রমণে ছড়িয়ে পড়ত মড়ক, গ্রাম হয়ে যেত নিশ্চিহ্ন। কিন্তু তারা রক্ত পান করত না, বা তাদের শিকারকে ভ্যাম্পায়ারও বানাত না। পশ্চিম ইউরোপের সংস্পর্শে এসে বিজ্ঞানের আলোকে ভ্যাম্পায়ারের চরিত্রও গেল বদলে। ষোড়শ শতাব্দীতে মনে করা হত মানব রক্তের ঔষধি ক্ষমতা আছে। তাই শরীরী ভ্যাম্পায়ার হয়ে উঠল সেই জীবনদায়ী রক্ত শোষণ করা অমর অজর অন্ধকারের জীব।
হরর সাহিত্যে ভ্যাম্পায়ারের আবির্ভাব ১৮১৯ সালে ইংরেজ লেখক জন পোলিডোরির লেখা ‘দ্য ভ্যাম্পায়ার’ বইটির মাধ্যমে। কিন্তু ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’ বইটিই এই বিষয়ে সবথেকে উল্লেখযোগ্য। ভ্যাম্পায়ার নিয়ে রণেন ঘোষ ‘বিস্ময় সায়েন্স ফিকশন!’ এবং ‘ফ্যানট্যাসটিক’ পত্রিকায় বেশ কিছু ধারাবাহিক প্রবন্ধ লিখে বাঙালি পাঠকের সঙ্গে সম্যক পরিচিতি ঘটিয়েছিলেন সেই সত্তরের দশকে। পরে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রকাশনা চালু করার পরে সেই সমস্ত লেখা পরিবর্ধিত করে তিনটি বই প্রকাশ করেন, যথাক্রমে ড্রাকুলার প্রতিহিংসা, ভ্যাম্পায়ার এবং আবার ভ্যাম্পায়ার। এই তিনটি বইয়ের প্রবন্ধ এবং গল্প-উপন্যাসগুলি একত্র করে বাংলায় ভ্যাম্পায়ারচর্চা বিষয়ে এই অনন্য সংকলনটি নির্মাণ করা হল। সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ফোটোগ্রাফ, অলংকরণ ইত্যাদি যোগ করা হয়েছে বিভিন্ন লেখায়। উদ্দেশ্য, ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে যাঁর কিছুমাত্র ধারণা নেই, তিনিও এই বইটি থেকে স্পষ্ট ধারণা করতে পারবেন বিষয়টির। ৪৭২ পাতার সুবিশাল হার্ডকভার, এক কথায় বাংলায় ভ্যাম্পায়ার এনসাইক্লোপিডিয়া।
Reviews
There are no reviews yet.