তার নাম তিথি। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। খুবই সাধারণ চেহারা। পার্ট ওয়ানের ছাত্রী। বাড়ির জীবন, কলেজ আর পড়াশোনা—এইসব নিয়েই কাটছিল তার দিন। হঠাৎই একদিন একজনের চোখে চোখ পড়তেই, তিথির সারা শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল তীব্র ঝলক তুলে। ছেলেটির নাম পার্থ, তিথির এক বন্ধুর খুড়তুতো দাদা, ওর চেয়ে বারো বছরের বড়। প্রথম দর্শনেই যেখানে প্রেন, সেখানে বাবা-মা-দাদার সমস্ত অনুরোধ উপরোধ উপেক্ষা করে, তিথি একদিন পার্থর ভাগ্যের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নিল। বিয়ের দিন থেকেই শুরু হল তিথির অভিনব জীবন। ভাঙাচোরা নিম্নবিত্ত ভাড়া বাড়িতে ততোধিক নলিন, বিবর্ণ একটি ঘরে তিথির সংসার। ওই একটি মাত্র ঘরেই তার শ্বশুরবাড়ি। স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকার কোনও সুযোগই নেই। এ কেমন দাম্পত্য! তিথির জীবনে এরপর একে একে ঘটতে লাগল আশ্চর্য সব ঘটনা—তিথির দুরূহ কল্পনাতেও যে-জীবন কোনও দিন ঠাঁই পায়নি। ক্রনে ক্রনে স্বার্থপরতা, ক্রুরতা, নিষ্ঠুরতায় ভরা একজগতের ছবি উন্মুক্ত হল তিথির চোখের সামনে। কী করবে সে এখন? পেরোতে পারবে কি তার জীবনের চরমতন এক পরীক্ষা, যার সামনে তিথি এখন দাঁড়িয়ে? এই উপন্যাস উন্মোচিত করেছে সেই অন্তর্গঢ় কাহিনী। ইতিমধ্যে কবিতার জগতে মন্দাক্রান্তা তাঁর বিশিষ্ট স্বকীয়তায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। ‘ঝাঁপতাল’তাঁর প্রথম উপন্যাস। এই কথাসাহিত্যে অন্য এক প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন মন্দাক্রান্তা।
Reviews
There are no reviews yet.