অদা ও অমৃত। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি ও অমৃতলাল বসু। বাংলা নাট্য উপাখ্যানের দুই বর্ণময় কুশীলব। দর্শকের কাছে অভিনেতা হিসাবে কোন স্বপ্নলোকের বাসিন্দা ছিলেন এই দুই নট? সমস্ত জীবন বাংলার রঙ্গালয়ে কোন আশ্চর্য প্রদীপের সন্ধানে ছিলেন দু’জনে? দু’জনে কি নিছকই একে অপরের গুণমুগ্ধ ছিলেন, নাকি তাঁদের মধ্যে ছিল এক নিরুচ্চার নিগূঢ় সম্পর্ক-রসায়ন? কি সেই পঞ্চমবৈদিক আধিভৌতিক আকর্ষণ? ‘অদামৃত কথা’ উপন্যাসে লেখক ব্রাত্য বসু পাঠককে ক্রমাগত সেই ভুলভুলাইয়াতে ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সন্ধানে অনিবার্যভাবে স্বয়ং গিরিশচন্দ্র ঘোষ সমেত বাংলা থিয়েটারের বিবিধ বিচিত্র চরিত্রের সমাহার নির্মিত হয়েছে। মঞ্চের আলো আর উইংসের অন্ধকারের মাঝে যে একফালি আবহমান জীবন তার সুলুকসন্ধান এই উপন্যাসে। এখানে চরিত্র খুলেছে ইতিহাসের দরজা, ইতিহাস খুঁজে বের করেছে আখ্যান। সেই ইতিহাসের প্রামাণ্য তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার এই উপন্যাসকে করে তুলেছে একটা নিশ্ছিদ্র গবেষণার দলিল। এবং ইতিহাস-উত্তর সময় আখ্যান। অদা আর অমৃতের দুই আশ্চর্য জীবন সমাপতিত এই ‘অদামৃত’ আখ্যানে।
ব্রাত্য বসু-র জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯, কলকাতায়। শিক্ষা বাঙ্গুর স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম এ। এই সময়ের অন্যতম সফল নাটককার, পরিচালক ও অভিনেতা। সম্মানিত নাট্যব্যক্তিত্ব বিষ্ণু বসুর পুত্র ব্রাত্য বাংলা রঙ্গমঞ্চে তাঁর প্রতিভা ও তারুণ্যের গভীর স্বাক্ষর রেখেছেন। এ যাবৎ পেয়েছেন শ্যামল সেন স্মৃতি সম্মান (১৯৯৮), দিশারী পুরস্কার (২০০০), সত্যেন মিত্র পুরস্কার (২০০১, ২০০৩ ও ২০০৪) এবং শিল্পায়ন সম্মান। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রাস্তা’, ‘তিস্তা’ এবং ‘তারা’।
Reviews
There are no reviews yet.