ঠিক সন্ধে সাতটা বাজতেই একটা ভ্রমরের গুঞ্জনের মতো শব্দ শুনতে পেল হীরু। নিমেষে তার চোখ চলে গেল তাকে রাখা বাক্সটার দিকে। আর সঙ্গে সঙ্গে তার বুকটা যেন ছ্যাৎ করে উঠল। আজ আবার সেই দিন, অমাবস্যা। একটু পরেই আবার শুরু হবে সেই ভয়ংকর খেলা…..
প্রথমদিকে দু-একটা রাত সুদীপ ভেবেছিল এটা একটা দুঃস্বপ্ন, তাই গায়ের জোরে উঠে বসতে চেয়েছিল বিছানায়। কিন্তু পারেনি। সেই অলৌকিক শক্তির কাছে পরাজয় মানতে বাধ্য হয়েছে সুদীপ। আর সেই অবসরে কোনও এক অলৌকিক শক্তির অলংঘ্য নির্দেশে তার সারা গায়ে কেউ যেন ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধছে…
গাড়িটা স্টার্ট দিল, আর সেই মুহূর্তে মৃণাল গাড়ির পেছনের কাচ দিয়ে দেখলেন, বৌমার হাতটা গিয়ে ছেলেটির গলা জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে আনছে, আর বিনিময়ে ছেলেটা বৌমার পিঠে হাত দিয়ে তার মুখটা নামিয়ে আনছে বৌমার দিকে। এক মুহূর্তের দৃশ্য, পরক্ষণেই গাড়িটা শাঁ করে বেরিয়ে গেল আশ্রমের গেটের দিকে। শেষ বিকেলের পড়ন্ত রোদ সামনের বাগানের ফুলগাছগুলোর ওপর আলোর মায়া সৃষ্টি করেছে। মৃণাল পাথরের মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন আর ভাবছিলেন, তিনি নিজে তাহলে কোন আলো রেখে গেলেন তাঁর এতখানি জীবনে? সে আলোয় কি এতটুকু আলোকিত হয়নি তাঁর চারপাশ? শুধু অন্ধকারের মানুষ ?….. এইরকমই সাতটি গল্প আর একটি নভেলায় সাজানো এই বই, যার পাতায় পাতায় রয়েছে জমাট অন্ধকারের কথা। আতঙ্কের অন্ধকার, অলৌকিকের অন্ধকার অথবা এই গলিত
সমাজের অন্ধকার।
Reviews
There are no reviews yet.