ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন নয়টি বছর। বরোদা কলেজে অধ্যাপনা আর অধ্যয়নে দিবারাত্রি ব্যস্ত অরবিন্দ। কেমব্রিজের দিনগুলোয় অনুধাবন করেন পাশ্চাত্য সভ্যতা, বরোদায় এসে নব উদ্যমে শুরু প্রাচ্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যচেতনা-চর্চা। এর মাঝে বম্বের বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘ইন্দুপ্রকাশ’-এ প্রকাশিত তাঁর একের পর এক সাড়া জাগানো প্রবন্ধ-সম্ভার।
তখন নরমপন্থী নেতারা বিভিন্ন দাবি- পাওয়া নিয়ে আবেদন নিবেদন করতেন নরম সুরে। ইংরেজ সরকারের কাছে সেইসব সামান্য দাবিগুলোরও না ছিল গুরুত্ব না পেত মর্যাদা। কংগ্রেসের অধিবেশনগুলি হয়ে উঠেছিল তিন-চার দিনের তামাশা। স্পষ্টভাষীরা পরিহাসের বিভঙ্গে বলতেন “কঙ্গরসে রঙ্গরসা।
এমনি সময় ভগিনী নিবেদিতা এলেন। বরোদায়। অরবিন্দের কাছে নিবেদিতার প্রিয় পরিচয় ‘কালী দি মাদার’-এর রচয়িত্রী। কথা হল দু-জনার। নিবেদিতার মনে হল অরবিন্দ হবেন ভাবীকালের দেশনায়ক।
আঁচ করলেন- বরোদা থেকে বাংলা পর্যন্ত এক বিশাল পরিকল্পনা তাঁর ভাবনা রাজ্যে। মাকড়সার জালের মতো বিপ্লবীরা একদিন ছড়িয়ে পড়বে শহরে শহরে গ্রামে-গ্রামে।
অরবিন্দকে অধীরকণ্ঠে নিবেদিতা বললেন, ‘কলকাতায় তোমাকে বড় দরকার। তোমার স্থান বাংলায়।”
তারপর শতাব্দীর রাক্ষসীবেলায় শুরু অচলায়তন ভাঙ্গার পালা। সেই পালার প্রাণপুরুষ বিপ্লবী অরবিন্দ।
Reviews
There are no reviews yet.