বিপ্লবীর মৃত্যু তো দেহেই ঘটে শুধু, বিপ্লবীর অস্তিত্ব তো চেতনায়।
বিপ্লবীর চেতনা যতদিন থাকে বিপ্লবীর ততদিন জীবন থাকে।
১৯৬৭-তে কোনো এক প্রত্যন্ত গ্রামে আগুন জ্বলেছিল। সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে। নকশালবাড়ি থেকে শ্রীকাকুলাম হয়ে সারা দেশে। মত আর পথ নিয়ে পণ্ডিতরা আলোচনা করুক, তবে কর্কশ বিরোধীরাও মানবেন সে কাহিনিগুলি বন্দুক-বোমার আগুনে আজও রোমাঞ্চকর। কতবার কতজন সেই আগুনের মৃত্যু ঘোষণা করেছেন। কলকাতা পুলিশের এক দারোগা তো চারু মজুমদার-কে ধরার পর নকশালবাড়ির কবরে মাটি দেবার কথাও বলে ফেলেছিলেন। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতোই আবার তারা জন্ম নেয়, আবার মরে, আবার ইতিহাস তৈরি হয়। ব্যক্তি-জীবনে তারা কেউ প্রেমিক, কেউ মা, কেউ বাবা। তারাই সমষ্টির জন্ম দেয়। তারা বারবার ফিরে আসে।
‘মারো ভিতুরা, মারো। তোমরা একটা শরীরকে মারছ, তার আদর্শকে মারতে পারবে না. – চে বলেছিলেন। তাই বারবার কুন্তল ফিরে আসে।
Reviews
There are no reviews yet.