শিবের উপাসক রাবন কঠোর তপস্যার মাধ্যমে শিবের অস্ত্র চন্দ্রহাস লাভ করে। সেই চন্দ্রহাস কালক্রমে এসে পৌছায় কলিঙ্গ রাজ্যে। সেইসময় এক গোপন সংঘের সঙ্গে আতাত করে কলিঙ্গ আক্রমণ ও জয় করতে চায় সম্রাট অশোক, পরিবর্তে সেই গোপন সংঘ সম্রাট অশোকের থেকে সেই চন্দ্রাহাস চায়।
অশোক সংঘের সহযোগে আর পরামর্শে কলিঙ্গ জয় করে। যেমন আমরা জানি, এরপরেই চণ্ডাল অশোক বৌদ্ধ ধর্মে রূপান্তরিত হয়, সংঘের লোকেদের বন্দি করা হয়। আর সেই চন্দ্রহাস তার ছেলে মেয়ে মহেন্দ্র এবং সংঘমিত্রা কে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিংহলের রাজার কাছে। যা পরবর্তী কালে রাবনের মৃতদেহ যে গুহায় রাখা হয়েছে (কথিত বর্তমানে শ্রীলংকা তে), সেখানেই গোপন করে রাখা হয়।
গল্পটি মূলত এই পৌরাণিক কাহিনীর ওপর অবলম্বন করে। এরপর গল্পের protagonist রা কিভাবে চন্দ্রাহাস এর খোঁজে পায়, তার জেরে কয়েকটা খুন, আর সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশ থেকে (গল্পটি বাংলাদেশের পটভূমিতে লেখা) শ্রীলংকা এসে পৌছায় সেটা বই পড়ে জেনে নেবেন। প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা সেই সংঘ এখনো বর্তমান। এদের কেই বলা হয় “the unknown nine”। তারা যথেষ্ট বিদ্বান এবং যে যার field এ একমেবদ্বীতীয়ম। তবে তারা এখনো গোপনে সংঘের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছে বহু সময়কাল ধরে।
তবে আমার কাছে এই গল্পের USP হলো রামায়ণের কাহিনী। লেখক এখানে যেভাবে রাম এবং রাবনকে দেখিয়েছে, তা যথেষ্ট বিতর্কিত। আমাদের অনেকের কাছেই রাবন মহাজ্ঞানী, মহাপুরুষ। যেটা সত্য। আমরা অনেকেই বলে থাকি ভাই বা দাদা চাই রাবনের মতো, যে নিজের বোনের জন্য রামের সাথে যুদ্ধ বাঁধাতে প্রস্তুত। রামের মতো নয়, যে নিজের স্ত্রীর
ওপর সন্দেহ করে তাকে দিয়ে অগ্নিপরীক্ষা করানো হয়।
কিন্তু এছাড়াও আরো অনেক বিতর্কিত মন্তব্য আর বিশ্লেষণ আছে, যেখানে রামের grey character দেখানো হয়েছে। বস্তুত এখানে রামায়ণের কাহিনী এবং চরিত্র গুলো যে বাস্তব জীবনে বর্তমান ছিল, সেটা লেখক এখানে দেখাতে চেয়েছেন, সেগুলোকেই অতিরঞ্জিত করে ঋষি বাল্মীকি সর্বজিনবিদিত এবং পূজনীয় হিসেবে লিখেছেন।
পরিশেষে বলবো, লেখক যা লিখেছেন তা শুধুমাত্র গল্পের ছলে বা গল্পের স্বার্থে। যিনি সনাতন হিন্দু ধর্মের ব্যাপারে কোনো নেগেটিভ আলোচনা বা বিশ্লেষণ পছন্দ করেন না, তারা বইটি এড়িয়ে যেতে পারেন, অথবা শুধুমাত্র গল্পের ছলে পড়তে পারেন। আমি তো বলবো বইটি অবশ্যই পড়ার মতো। যাদের রামায়ণ এবং পৌরাণিক বিষয়ে আগ্রহী, তারা অবশ্যই বইটি পড়ুন।
Anirban –
শিবের উপাসক রাবন কঠোর তপস্যার মাধ্যমে শিবের অস্ত্র চন্দ্রহাস লাভ করে। সেই চন্দ্রহাস কালক্রমে এসে পৌছায় কলিঙ্গ রাজ্যে। সেইসময় এক গোপন সংঘের সঙ্গে আতাত করে কলিঙ্গ আক্রমণ ও জয় করতে চায় সম্রাট অশোক, পরিবর্তে সেই গোপন সংঘ সম্রাট অশোকের থেকে সেই চন্দ্রাহাস চায়।
অশোক সংঘের সহযোগে আর পরামর্শে কলিঙ্গ জয় করে। যেমন আমরা জানি, এরপরেই চণ্ডাল অশোক বৌদ্ধ ধর্মে রূপান্তরিত হয়, সংঘের লোকেদের বন্দি করা হয়। আর সেই চন্দ্রহাস তার ছেলে মেয়ে মহেন্দ্র এবং সংঘমিত্রা কে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিংহলের রাজার কাছে। যা পরবর্তী কালে রাবনের মৃতদেহ যে গুহায় রাখা হয়েছে (কথিত বর্তমানে শ্রীলংকা তে), সেখানেই গোপন করে রাখা হয়।
গল্পটি মূলত এই পৌরাণিক কাহিনীর ওপর অবলম্বন করে। এরপর গল্পের protagonist রা কিভাবে চন্দ্রাহাস এর খোঁজে পায়, তার জেরে কয়েকটা খুন, আর সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশ থেকে (গল্পটি বাংলাদেশের পটভূমিতে লেখা) শ্রীলংকা এসে পৌছায় সেটা বই পড়ে জেনে নেবেন। প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা সেই সংঘ এখনো বর্তমান। এদের কেই বলা হয় “the unknown nine”। তারা যথেষ্ট বিদ্বান এবং যে যার field এ একমেবদ্বীতীয়ম। তবে তারা এখনো গোপনে সংঘের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছে বহু সময়কাল ধরে।
তবে আমার কাছে এই গল্পের USP হলো রামায়ণের কাহিনী। লেখক এখানে যেভাবে রাম এবং রাবনকে দেখিয়েছে, তা যথেষ্ট বিতর্কিত। আমাদের অনেকের কাছেই রাবন মহাজ্ঞানী, মহাপুরুষ। যেটা সত্য। আমরা অনেকেই বলে থাকি ভাই বা দাদা চাই রাবনের মতো, যে নিজের বোনের জন্য রামের সাথে যুদ্ধ বাঁধাতে প্রস্তুত। রামের মতো নয়, যে নিজের স্ত্রীর
ওপর সন্দেহ করে তাকে দিয়ে অগ্নিপরীক্ষা করানো হয়।
কিন্তু এছাড়াও আরো অনেক বিতর্কিত মন্তব্য আর বিশ্লেষণ আছে, যেখানে রামের grey character দেখানো হয়েছে। বস্তুত এখানে রামায়ণের কাহিনী এবং চরিত্র গুলো যে বাস্তব জীবনে বর্তমান ছিল, সেটা লেখক এখানে দেখাতে চেয়েছেন, সেগুলোকেই অতিরঞ্জিত করে ঋষি বাল্মীকি সর্বজিনবিদিত এবং পূজনীয় হিসেবে লিখেছেন।
পরিশেষে বলবো, লেখক যা লিখেছেন তা শুধুমাত্র গল্পের ছলে বা গল্পের স্বার্থে। যিনি সনাতন হিন্দু ধর্মের ব্যাপারে কোনো নেগেটিভ আলোচনা বা বিশ্লেষণ পছন্দ করেন না, তারা বইটি এড়িয়ে যেতে পারেন, অথবা শুধুমাত্র গল্পের ছলে পড়তে পারেন। আমি তো বলবো বইটি অবশ্যই পড়ার মতো। যাদের রামায়ণ এবং পৌরাণিক বিষয়ে আগ্রহী, তারা অবশ্যই বইটি পড়ুন।