Description
বিশ্বের ইতিহাসে প্রতিটি বড় মাপের মানুষের কর্ম ও জীবন জানতে হলে তাদের জীবন স্মৃতি বহুলাংশে আমাদের সাহায্য করে। সাহায্য করে সেই ব্যক্তি ও মানুষটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তুলতে। আর যখন সেই মানুষটি রবীন্দ্রনাথ, তখন তাঁর জীবন স্মৃতি জানা এবং পাঠকরা প্রতিটি সাহিত্যানুরাগী বাঙালির অবশ্য কর্তব্য বলে আমি বিবেচনা করি।
যে কোনো বড় মাপের মানুষের বাল্যকাল, পারিবারিক পরিবেশ, আত্মীয় বন্ধু তাঁকে জীবনে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। কারণ বাল্যকাল থেকেই এই সব বড় মাপের মানুষেরা থাকেন সপ্রতিভ এবং স্পর্শকাতর। ঠিক যেন একটি মাটির ভেলার প্রতিমা হয়ে গড়ে ওঠার সময় এই বাল্যকাল। আর সেই কালের বড় মাপের মানুষের “জীবন স্মৃতি” আগামী কালের বহু মানুষকে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। অবশ্য তার সঙ্গে গ্রহণ করার যোগ্যতাও অর্জন সাপেক্ষ।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনস্মৃতির একজায়গায় বলেছেন “বালাকালে স্কুল পালাইয়াই কাটাইয়াছি। নিতান্তই লেখাপড়ার বাতিক ছিল বলিয়া শিশুকাল হইতে কেবল শিখিতেছি। যখন আমার বয়স ১৬ সেই সময় ভারতী পত্রিকা বাহির হয়। প্রধানত এই পত্রিকাতেই আমার গদ্য লেখা অভ্যস্ত হয়।
তারমানে তথাকথিত সকলের শিক্ষা নয় শিক্ষা পরিবেশ ও পরিবারের মধ্য দিয়ে উঠে আসে। তাই মাত্র ১৭ বছর বয়সে কবি তাঁর মেজদার সঙ্গে বিলাত যান এবং ইংরেজি শিক্ষা শুরু করেন। পাঠালেন ইংরেজি সাহিত্যের হেনরি মার্শির কাছে। সর্বপরি ঠাকুর পরিবারের পরিবেশ, কখনও কখনও বিরাট বাড়িতে একাকিত্বের বিষাদ তাঁর পরবর্তি জীবনে কাব্য রচনার প্রসাদ হয়ে নেমে আসে। তাই হয়তো পাই পাই আমরা নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গর মত কবিতা
আবার সেই গোড়ার কথায় ফিরে যেতে হয়, রবীন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি পাঠ না করলে রবীন্দ্রনাথের গড়ে ওঠার পশ্চাৎপট এবং তাঁর প্রতিভা বিকাশের প্রেক্ষাপট আমাদের কাছে অজ্ঞাত থেকেই যাবে। অতএব কবিকে জানতে, তাঁর সাহিত্যকে জানতে কবির স্মৃতিচারণা অর্থাৎ তাঁর “জীবন স্মৃতি” পাঠ একান্ত প্রয়োজন।
Reviews
There are no reviews yet.