Description
ঘটনা তাৎপর্যহীন। তা ঘটে কেবলমাত্র জীবনকে টেনে নিয়ে যাবার জন্য। জন্মদাগ থেকে মৃত্যুচিহ্ন অবধি যে-পথতা-ই জীবনের পথ। সেই পথ আসলে আবার একটা শূন্যস্থান। মহাবিশ্বের কোনও এক রহস্যজনক সংজ্ঞাহীন সত্তার নির্দেশে জীবকে যেন অনন্যোপায় হয়েই পূরণ করে চলতে হবে এই শূন্যস্থানকে। তাকে জন্মাতেই হবে, তাকে মরতেই হবে, মাঝখানে ঘটনাচক্র দিয়ে ভরিয়ে তুলতেই হবে নিশ্বাস। সে কার্যকারণ জানেনা, তার এসবে আদতে কোনও প্রয়োজনই নেই। কোনও লক্ষ্যও নেই তার কোথাও পৌঁছনোর। কিন্তু তাকে চলতে হবে, থামলে চলবেনা।জীবনের এই স্রোতকে মেনে নেবে সে। যেমন-তেমন একটা কাঠের নৌকোর মতো তখন ভাসিয়ে দেবে নিজেকে। কিন্তু তারপরও এই আদি অন্তহীন টাইম ও স্পেসের মধ্যে ব্যক্তি মানুষের জীবনের গুরুত্ব থাকবে তার কাছে। এই উপন্যাস আসলে জীবনের সেই স্রোতগাথা, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র জীবন নিজে। যদিও আখ্যানে বিচিত্র সব নাম তার, বিচিত্র ছদ্মবেশ, সেকখনও ‘রাত্রিমণি’ কখনও ‘রণদেব’ বা ‘মুকুল’। কখনও ‘তরী’ ‘ইরাবান’ বা ‘শাহরুখ খান’! এদের সবাইকে নিয়ে জীবনের বৃন্তমূলে গাঁথা এক বিস্ফোরক উপন্যাস ‘শঙ্খিনী’।
সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৩ নভেম্বর ১৯৭৪, দুর্গাপুরে। ১৯৮৬ সাল থেকে কলকাতায় বসবাস। প্রথমে বাগবাজার মালটিপারপাস্ গার্লস স্কুল, পরে গোখেল কলেজে পড়েছেন। তেরো-চোদ্দো বছর বয়স থেকেই কবিতা লেখার শুরু। প্রথম কবিতা ছাপা হয় ‘দেশ’ পত্রিকায় ২০০১-এ। তারপর নিয়মিত দেশ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি। প্রথম উপন্যাস শঙ্খিনী। ‘দেশ’-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত। পেশা: সাংবাদিকতা। একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত। শখ: অসংখ্য। তবে আসল শখ মানুষের সঙ্গে এই মহাপৃথিবীর সম্পর্ক অধ্যয়ন।
Reviews
There are no reviews yet.