লেখা কেমন? গড়গড়িয়ে বিধান সরণীর ট্রামলাইন বেয়ে চলে গেছে এম জি রোডের দিকে। স্মৃতিশক্তি? কলেজের রোয়াকের নাম আর হলঘরের বেঞ্চির নাম সব লিখে রেখে দিয়েছে অ্যালবামে।

পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগের বিবর্ণ সেপিয়া টোন ইস্টম্যানকালারে রূপ নিয়েছে আবছা অ্যালবামে। সুদে-আসলে কৈশোর থেকে তারুণ্যে উত্তীর্ণ হবার দিনমান যাপন! এই হল আবছা অ্যালবাম। সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের ঈশানী রায়চৌধুরীর লেখা স্মৃতির আদরঘর। পড়লে যে লোকে ঠকবে না সে কি আর বলে দিতে হয় হে? পাঠক একটু অ্যালবামমুখী হও। আর রিভিউ প্রিভিউয়ের নিকুচি! বইটা যদি একশটে শেষ করতে না পারেন তাহলে আপনি আপনি নন! অপাঠক হয়ে গেছেন!
ওহ আমার কেমন লেগেছে? ধুর মশাই, এ কি আর পারস্পরিক পিঠ চুলকানো? ভালো লাগার জন্য সেসবের প্রয়োজন নেই মশাই! তবে আপনার ভাল না লাগতেই পারে! আপনি হয়তো ছেলেবেলাতেই প্রবৃদ্ধ হয়ে গেছেন! বোধিসত্ত্ব অথবা তীর্থঙ্কর!
তবে কি পুরোটাই ক্লাসিক? ন্যাহ! ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক! তাই এক দুটো জায়গায় পালিশে ঔজ্জ্বল্য বাড়ত বই কমত না! সেই যে যেখানে প্রফেসরদের নামে ছড়াকাটা! সেখানে ডিসক্লেমারের কী ছিল? কেউ তো বাবাকে বলে দিত না! আর এক্সপেরিমেন্টগুলো যদি বিজ্ঞান ছাড়িয়ে বাকি গতিপথের পথিকদের জন্যেও নেমে আসত? তা সে তো খুঁতখুঁতে আমি-র বিজ্ঞাপন। বইটার কি কোনও বিজ্ঞাপন লাগবে? আসলে কেন যেন মনে হচ্ছে, প্রতিটি পাঠকই এর বিজ্ঞাপন। আবছা অ্যালবাম কুলুঙ্গি দেরাজ পেরিয়ে বুকশেলফ ছুঁয়ে পাঠকের মননে মনে জায়গা করে নিক এই কামনাই করলাম তাহলে!
— সৌরাংশু