ঈশানী রায়চৌধুরীর স্মৃতিকথা।
একটা লেখা পড়লাম। উপন্যাস? উঁহু। ছোট গল্প?উঁহু। ইতিহাস? না, তাও নয়। তবে কী ? সেই তো ভাবছি। আচ্ছা, যদি বলি গসপেল অফ স্কটিশ চার্চ কলেজ ! বোঝা যায় কিছু ? আসলে, সত্তরের দশকের শেষ আর আশির দশকের শুরুতে কলকাতার শিক্ষা জগতের ইস্তাহার একটি। বইটির নাম হয়েছে ‘ আবছা অ্যালবাম’। কিন্তু বইটিতে সমুজ্জল ছবির মিছিল। সিপিয়া রঙ ধরেনি একটিতেও। উজ্জ্বল সব ছাত্রছাত্রীর কলরোল।
“এই লেখায় পাঁচ বছরের অনেক নবীন সকাল,দুরন্ত দুপুর, আদুরে বিকেল আর মধুর সন্ধে এসেছে।” আর এসেছে একদল ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত দধীচির দল, যাঁরা বহ্নিমান রেখেছেন শিক্ষার তপোবনের ধারাবাহিকতা। বাংলার শিক্ষার গরব জন্ম নেয় কোন আত্মত্যাগের সুতিকাগারে, তার ইতিহাস জন্ম দেয় জাতির আত্মশ্লাঘার অহংকার।এ এক জাতির আত্ম -উদ্ধারের কুরুক্ষেত্র। আমরা আজ কেন বেঁচে আছি তার ডকুমেন্ট এই লেখা।
এক অবিরল আনন্দের পাঠ অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার জন্য কথকের পুরস্কার আমাদের অবিরাম অভিনন্দন। লেখিকা ঈশানী রায়চৌধুরীর কলমে মরালীর অনায়াস লাবণ্যময় ভেসে চলা। কী অসীম মমতা আর গভীর অনুরাগে ধরে রেখেছেন লেখিকা সেই সময়কে। আমরা লেখিকার জয় উচ্চারণ করি।
— অরুণ আইন
লেখা কেমন? গড়গড়িয়ে বিধান সরণীর ট্রামলাইন বেয়ে চলে গেছে এম জি রোডের দিকে। স্মৃতিশক্তি? কলেজের রোয়াকের নাম আর হলঘরের বেঞ্চির নাম সব লিখে রেখে দিয়েছে অ্যালবামে।
Reviews
There are no reviews yet.