আগাথা ক্রিস্টির প্রথম উপন্যাস, দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলস প্রকাশ হয়েছিল ১৯২০ সালে। নিজের বোন মেইজের সঙ্গে বাজি ধরে আগাথা লিখেছিলেন ছুটিতে যাওয়া এক সৈন্যর এই গল্প, যেটাকে অন্তত ছ’জন প্রকাশক প্রত্যাখ্যান করেছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আগাথা ক্রিস্টি, রেড ক্রসের হয়ে ডিস্পেন্সারের কাজ করেছিলেন। নিজের সৃষ্ট চরিত্রগুলির হত্যা-দৃশ্য রচনার সময়ে বিভিন্ন ওষুধ, বিষ আর কেমিক্যালের এই জ্ঞান ক্রিস্টির খুবই কাজে এসেছিল। ক্রিস্টির নায়ক বা প্রতিনায়কদের হাতে বন্দুক খুবই কম দেখা গেছে।
আগাথা ক্রিস্টির লেখাতে নিখুঁত বিষ প্রয়োগ আর তার লক্ষণের বর্ণনার জন্য এক রুগীর প্রাণরক্ষা হয়েছিল। ডাক্তাররা যখন অসুস্থতার কারণ ডায়াগনোজ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তখন এক ক্রিস্টি-ভক্ত নার্স লক্ষ্য করেন রুগীর সমস্ত লক্ষণ দ্য পেল হর্সের এক চরিত্রের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সেই চরিত্রকে থেলিয়াম দেওয়া হয়েছিল।
আগাথা ক্রিস্টি নিজের দ্বিতীয় স্বামী, প্রত্নতত্ত্ববিদ ম্যাক্স ম্যালোওয়ান সঙ্গে সিরিয়া আর ইরাকে ওঁর বিভিন্ন খননকার্যে সঙ্গী হতেন। ওঁদের আসা-যাওয়ার মাধ্যম ছিল দা ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস। এই ভ্রমণের ওপর ভিত্তি করেই ক্রিস্টি লিখেছিলেন ‘মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’।
আগাথার সঙ্গে বিয়ের সময়ে ম্যালোওয়ান বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার লিওনার্ড উলির সহায়করূপে কাজ করছিলেন। উলির স্ত্রী এই বিয়েতে খুশি ছিলেন না এবং ওঁর আপত্তির কারণেই ক্রিস্টি মেসোপটেমিয়ার ক্যাম্পে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে থাকতে পারেননি। এর কিছুদিন পরই আগাথা লেখেন নিজের বিখ্যাত নভেল মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া। উলি দম্পতিকে উৎসর্গ করা এই নভেলের কাহিনি আবৃত হয়ে এক প্রত্নতত্ত্ববিদের স্ত্রীর হত্যা রহস্যকে ঘিরে।
কোনান ডয়েলের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ১৯৪০-এ আগাথা ক্রিস্টি লেখেন কার্টেন, যে গল্পে মৃত্যু হয় এরকুল পোয়ারোর। ক্রিস্টির ইচ্ছে ছিল তাঁর মৃত্যুর পর এই লেখা প্রকাশিত হোক। কিন্তু আগাথার অসুস্থতার কারণে ১৯৭৫ সালে কার্টেন প্রকাশিত হয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় ছাপা হয় পয়েরোর মৃত্যুর শোক-সংবাদ। এর ঠিক এক বছর পর মৃত্যু হয় আগাথা ক্রিস্টির।
Reviews
There are no reviews yet.