প্যারীচাঁদ মিত্রর, আলালের ঘরের দুলালের রচনাকাল ইংরেজির ১৮৫৬ সাল। প্রকাশ পাইয়াছিল, পরের বছর, অর্থাৎ ১৮৫৭, সিপাই বিদ্রোহর বছর। এর পর বাংলায় বহু শীত, বহু বসন্ত হেলিতে হেলিতে আসিয়াছে। দুলিয়া দুলিয়া ফিরিয়া গিয়াছে। এই মুহূর্তে মঙ্গল পাণ্ডে সরণি বড্ড ব্যস্ত; অফিসবাবু ছুটিতেছেন, ভিখারি পাতিয়াছে হাত, দোকানদারের মুখ ভার, কিনিবার লোক কমিয়াছে, মনের উচাটন বাড়িয়াছে, রক্তচাপ বাড়িয়াছে, হতাশা বাড়িয়াছে। কমিয়াছে মনের শান্তি আর আত্মার আরাম । ফলে এই মুহূর্তে আলালের ঘরের দুলালের সচিত্র নকশা আঁকিতে গেলে, লিখিতে গেলে কিছু রাখিতে হয়, কিছু নিজের মতো যোগ করিতে হয়। সুব্রত আচার্য তাহাই করিয়াছেন। আপন মনের মাধুরী আর চিরতা ঢালিয়া ঢালিয়া নতুন আলালের ঘরের দুলালকে গড়িয়াছেন। এই বইটিতে বেয়াদব মতিলালের একটি লেজ গজাইয়াছে। বাবু রামবাবু অবতার বিশেষ। তিনিও একটি লেজের মালিক। হাতও তার তিনটি। বর্তমানে ঠকচাচার টুপিটি জীবন্ত — নড়াচড়া করে। হাঁ করিয়া গিলিতে আসে। এ টুপি হাসিতে জানে, ছল করিতেও জানে।
একভাবে দেখিতে গেলে, সুব্রত আচার্যর ‘আলালের ঘরের দুলাল’-এর সাস্ত্রী, মন্ত্রী, ষড়যন্ত্রী প্রত্যেকেই এক-একটি নমুনা বিশেষ।
Reviews
There are no reviews yet.