এই বইয়ের নামই বলে দিচ্ছে, এক পরম্পরা এবং উত্তরাধিকার সযত্নে পরিবেশিত হয়েছে এখানে। ঠাকুমা-দিদিমাদের আমলের অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে। তার মধ্যে রন্ধনশিল্প অন্যতম। লেখিকা সেই ফেলে-আসা দিনের রান্না-বান্না খুঁজেপেতে পরমযত্নে সাজিয়ে দিয়েছেন এই গ্রন্থে। ভাবলে আশ্চর্য মনে হয়, বাঙালি রমণীরা কয়লা কিংবা কাঠের আঁচে সে-সময় রান্না করেছেন চিঁড়ের মালাইকারি, কমলালেবু দিয়ে কইমাছ কিংবা আমকাসুন্দি দিয়ে ইলিশমাছের অম্বল। চমৎকার খোয়া ক্ষীরের মাংস কিংবা তরমুজের তরকারি। সে-যুগের দিল্লি-সিমলার সাহেবি, লখনৌয়ের নবাবি এবং বাংলার সাবেকি রান্নার এক বিস্তৃত জগতের ছবি এ বইয়ের পাতায় পাতায়। আবার এ যুগের স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের উপযোগী করে এবং রান্নাঘরের নানান সীমাবদ্ধতার কথা মনে রেখে প্রতিটি পদ কীভাবে রাঁধতে হবে তাও অনুপুঙ্খ বলেছেন লেখিকা। পোলাও-বিরিয়ানি, লুচি-পরটা, মাছ-মাংস-নিরামিষ, জলখাবার-মিষ্টি মিলিয়ে প্রায় দুশোটি পদের এক জমজমাট আয়োজন এ-কালের রন্ধনপটীয়সীদের জন্য।
– Aditi Sannigrahi
Good book