সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়। মহাবিশ্বের কালচক্রের এই খেলা এভাবে ছাড়া অসম্ভব। প্রায় অসম্ভব। কিন্তু যদি এই সময়ের বুড়িসুতো দিয়ে তৈরি মবিয়াস স্ট্রিপ কেউ লন্ডভন্ড করে দেয়, আর রেখে যায় তার বেখেয়ালি পদচিহ্ন ডাইনোসরের সমসাময়িক পাথরে?
তেলেঙ্গনায়, গোদাবরীর তীরে, মাঙ্গুরু শহরের কাছে জেগে আছে এক তিমির পিঠের মতো দেখতে অনুচ্চ পাহাড়। সেটির জন্ম ভূপ্রাকৃতিক কারণে নয়, এক অতিকায় মহাকাশযান পৃথিবীর বুক ঠেলে ওঠার ফলে। সেটি দৈর্ঘ্যে প্রায় একশো কিলোমিটার, চওড়ায় ত্রিশ। পেটে তার সপ্তর্ষিদের মৎস্য অবতারের টানা নৌকার মতো অনেক জীবজন্তু। লেট ক্রিটেসাসের অবলুপ্ত না হয়ে বিবর্তিত হওয়া ডাইনোসর। কিন্তু মহাকাশযান যদি ভিনগ্রহীদের হয়, তাহলে তার মধ্যে জীবনানন্দ, রবীন্দ্রনাথের কবিতা লিখে গেল কি? পায়ের ছাপই বা মানুষের কেন? আর কেনই বা ভূত্বকের নীচে লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হল তাদের নভোযানকে? কীসের ভয়ে? কী লুকিয়ে আছে নক্ষত্রলোকের অন্ধকারে, যার থেকে পৃথিবীকে আড়াল করে চলেছে তিন ভ্রাম্যমাণ ধাতব গোলক, আর কেনই বা ইন্দিরা গান্ধি রাকেশকে গাইতে বললেন ‘সারে জহাঁ সে অচ্ছা’ মহাকাশ ছোঁয়ার মাহেন্দ্রক্ষণে?
কিছু উত্তর লুকিয়ে মাটির নীচে কোটি বছর ধরে লুকোনো ঈশ্বরের বাগানে, আর কিছু বহিদুনিয়ায়।
Reviews
There are no reviews yet.