এই সংকলনের অন্তর্গত কাহিনীদের ঠিক ‘ভূতের গল্প’ বলা যায় না। অবশ্য লেখকের মতে, এ সব কাহিনী কোনওটিই কল্পিত নয়, তাঁর নিজের প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ অথবা স্বপ্ন অভিজ্ঞতা। হ্যাঁ, তিনি স্বপ্নকেও ‘কল্পনা’ বলে বিশ্বাস করেন না, স্বপ্ন, এই গ্রন্থের লেখকের কাছে ততটাই ‘বাস্তব’ যতটা এই আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান জগত! অথবা এই দৃশ্যমান জগতও অবাস্তব, কাল্পনিক এবং স্বপ্নবৎ!
ঠিক এই জায়গা থেকেই শুরু হয় এই কাহিনীদের যাত্রাপথ। ধীরে ধীরে মুছে যেতে থাকে, দৃশ্যমান চরাচর ও যুক্তিবারান্দার ওপারে যে বিস্তীর্ণ অস্পষ্ট জগত, তার মাঝে গড়ে ওঠা প্রাচীর। সেই জগত স্থূল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়, কিন্তু পঞ্চেন্দ্রিয় ছাড়াও অন্য যে-সকল ইন্দ্রিয় রয়েছে, তাদের কাছেও কি প্রকাশিত হয় না সেই কুয়াশাবৃত মায়াভুবন ? লেখকের অভিজ্ঞতায় ওই মায়াভুবনেরই অস্পষ্ট প্রতিবিম্ব ফুটে উঠেছে। আর সে-অভিজ্ঞতা তিনি কাহিনীরূপে এক আশ্চর্য যাদুভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন এই গ্রন্থে।
লেখকের নিজের কথায়, ‘এই দুই জগতের মাঝে কোনও জলচল ভেদ নাই। যেকোনও মুহূর্তে দেখা হয়ে যেতে পারে দুজনের, একটি ক্ষীণ সাঁকোর ব্যবধান মাত্র, তার নিচে বয়ে চলেছে অতল মৃত্যুনদী’!
Reviews
There are no reviews yet.