Weight | 0.3 kg |
---|---|
Dimensions | 21 × 18 × 2 cm |
Author Name | |
Binding | |
Language | |
Publisher | |
Publishing Year | 2024 |
Basat Kore Dujona || Swapan Paul || বসত করে দু’জনা || স্বপন পাল
Original price was: ₹250.₹213Current price is: ₹213.
(Out of stock)
Out of stock
– Mandira
চমৎকার একটি ছোটগল্পের সংকলন, পাঠককে শুধু মুগ্ধই করেনা – বইয়ের র্যাকে যত্ন করে সাজিয়ে রাখার মত এক সংগ্রহ।
” আগলে রাখার একটি হৃদয় মানুষের বড় প্রয়োজন।”…. কথাটি আমার না, একজন লেখকের হৃদয়মথিত সূক্ষ্ম অনুভূতির কথা, যা লেখকের হৃদয়সঞ্জাত এক উপলব্ধি – এক দর্শন। যাঁর শৈশব এবং প্রাথমিক শিক্ষাকাল দেশের উত্তরপ্রান্তের একটি বিখ্যাত শহরে। পরবর্তীকালে কর্ম, শিক্ষা এবং জীবনের সমগ্র পথ চলা সবই ভিন্ন ধরনের আর একটি শহরে। বালক বয়স থেকে বেড়ে ওঠা শিল্পশহর দুর্গাপুরে। পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের ঘটনাক্রমে বালক বয়সেই এলাহাবাদ( অধুনা প্রয়াগরাজ) থেকে ভিন্নতর পরিবেশে এই বাঙলায় এই শিল্পশহরে চলে আসা। সেই অবধি সমগ্র বাল্য-কৈশোর-যৌবনের নৌকায় ভাসতে ভাসতে প্রবীণ এবং ক্রমশ প্রৌঢ়ত্বের বন্দরে তাঁর নোঙর বাঁধা এই দুর্গাপুরেই। কাব্যকবিতা সাহিত্যচর্চার শুরু এবং যাবতীয় কর্মচাঞ্চল্য দুর্গাপুরে থেকেই। একজন জীবনসঞ্জাত গল্পকার – যিনি আবার বিদগ্ধ এবং বিশিষ্ট কবিও – কী অবলীলায় জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা ও অনুভবগুলোকে সুচারু বন্ধনে বেঁধে নিয়ে ছোটগল্পের আকারে অপূর্ব সুন্দর করে পরিবেশন করতে পারেন তা অবাক করে! পালক পাবলিশার্স থেকে সদ্য প্রকাশিত তাঁর ছোট গল্পগ্রন্থ ‘ বসত করে দু’জনা ‘ না পড়লে সেই রসাস্বাদনটুকু থেকে বঞ্চিতই থেকে যেতাম। আসলে লেখকেরই উপলব্ধির যে কথা উল্লেখ করে আমি আমার এই লেখা শুরু করেছিলাম, একটি করে গল্প পড়া শেষ করেই পরেরটিতে ঢুকে ক্রমাগত এই একুশটি গল্পেরই গহীনে নামতে নামতে এই কথাটিতেই পাঠক আমি বারেবারে নড়ে উঠেছি – ” আগলে রাখার একটি হৃদয় বড় প্রয়োজন “। শিরোনামের গল্পটি নিয়ে আমি কি আর বলব, গল্পকার সেই সার কথাটি এই গ্রন্থের ভূমিকাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রতিটি গল্পই যেন সেই গতেই দারুণ ভাবে খেলে চলেছে। গল্পের চরিত্রগুলো সবাই সেই মানুষের ভিতরেরই মানুষ – তার আনন্দ, দুঃখ, ত্যাগ, স্বার্থপরতা, প্রেম, ঘৃণা, প্রাপ্তি – এই সমস্তরকম দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্যেই তাদের বিচরণ। আকণ্ঠ ডুবে থাকা। তাই নিয়েই তাদের জীবনের চলাচল। গল্পের প্রায় সমস্ত চরিত্র সমাজের হতদরিদ্র, অবহেলিত, আর্থিকভাবে দুর্বল ও অন্ত্যজ এবং ব্রাত্য অংশের সব নারী, পুরুষ ও বালকবালিকা। গল্পগুলোর মধ্যে কোথাও দারিদ্র্য, অবহেলা এবং অর্থনৈতিক অসাম্যের কারণে সমাজের অবক্ষয়ের চিত্রটি যেমন ফুটে উঠেছে, আবার কোথাও দিশাহীন ভাঙানৌকার মত টাল খেতে খেতে গল্পের চরিত্রকে অন্তিমে এক আশার উত্তরণে লেখক পৌঁছে দিয়েছেন। প্রতিটি গল্পেই স্বপন পাল তাঁর চিন্তনের প্রকাশে আশায় উত্তরণের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন। প্রতিটি গল্পের শেষে লেখক পাঠককে এক অনুপম স্বস্তির মধ্যে নিয়ে আসতে পেরেছেন। এটাই লেখনির মধ্যে একটি মহৎ দিকদর্শনের ছবিকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে – পাঠক হিসাবে আমার অন্তত তাই মনে হয়েছে।
খুব সুন্দর এবং উচ্চমানের একটি ছোটগল্পের বই লেখক স্বপন পাল আমাদের উপহার দিয়েছেন। চমৎকার প্রচ্ছদে ঝকঝকে ছাপাইয়ের গুণমান মুগ্ধ করে। অত্যন্ত রুচিশীল একটি প্রকাশ। প্রকাশনা সংস্থা পালক পাবলিশার্স এবং প্রচ্ছদ শিল্পীকে এজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
– চিন্ময় ঘোষ
*****
– Chinmoy Ghosh
চমৎকার একটি ছোটগল্পের সংকলন, পাঠককে শুধু মুগ্ধই করেনা – বইয়ের র্যাকে যত্ন করে সাজিয়ে রাখার মত এক সংগ্রহ।
” আগলে রাখার একটি হৃদয় মানুষের বড় প্রয়োজন।”…. কথাটি আমার না, একজন লেখকের হৃদয়মথিত সূক্ষ্ম অনুভূতির কথা, যা লেখকের হৃদয়সঞ্জাত এক উপলব্ধি – এক দর্শন। যাঁর শৈশব এবং প্রাথমিক শিক্ষাকাল দেশের উত্তরপ্রান্তের একটি বিখ্যাত শহরে। পরবর্তীকালে কর্ম, শিক্ষা এবং জীবনের সমগ্র পথ চলা সবই ভিন্ন ধরনের আর একটি শহরে। বালক বয়স থেকে বেড়ে ওঠা শিল্পশহর দুর্গাপুরে। পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের ঘটনাক্রমে বালক বয়সেই এলাহাবাদ( অধুনা প্রয়াগরাজ) থেকে ভিন্নতর পরিবেশে এই বাঙলায় এই শিল্পশহরে চলে আসা। সেই অবধি সমগ্র বাল্য-কৈশোর-যৌবনের নৌকায় ভাসতে ভাসতে প্রবীণ এবং ক্রমশ প্রৌঢ়ত্বের বন্দরে তাঁর নোঙর বাঁধা এই দুর্গাপুরেই। কাব্যকবিতা সাহিত্যচর্চার শুরু এবং যাবতীয় কর্মচাঞ্চল্য দুর্গাপুরে থেকেই। একজন জীবনসঞ্জাত গল্পকার – যিনি আবার বিদগ্ধ এবং বিশিষ্ট কবিও – কী অবলীলায় জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতা ও অনুভবগুলোকে সুচারু বন্ধনে বেঁধে নিয়ে ছোটগল্পের আকারে অপূর্ব সুন্দর করে পরিবেশন করতে পারেন তা অবাক করে! পালক পাবলিশার্স থেকে সদ্য প্রকাশিত তাঁর ছোট গল্পগ্রন্থ ‘ বসত করে দু’জনা ‘ না পড়লে সেই রসাস্বাদনটুকু থেকে বঞ্চিতই থেকে যেতাম। আসলে লেখকেরই উপলব্ধির যে কথা উল্লেখ করে আমি আমার এই লেখা শুরু করেছিলাম, একটি করে গল্প পড়া শেষ করেই পরেরটিতে ঢুকে ক্রমাগত এই একুশটি গল্পেরই গহীনে নামতে নামতে এই কথাটিতেই পাঠক আমি বারেবারে নড়ে উঠেছি – ” আগলে রাখার একটি হৃদয় বড় প্রয়োজন “। শিরোনামের গল্পটি নিয়ে আমি কি আর বলব, গল্পকার সেই সার কথাটি এই গ্রন্থের ভূমিকাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রতিটি গল্পই যেন সেই গতেই দারুণ ভাবে খেলে চলেছে। গল্পের চরিত্রগুলো সবাই সেই মানুষের ভিতরেরই মানুষ – তার আনন্দ, দুঃখ, ত্যাগ, স্বার্থপরতা, প্রেম, ঘৃণা, প্রাপ্তি – এই সমস্তরকম দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্যেই তাদের বিচরণ। আকণ্ঠ ডুবে থাকা। তাই নিয়েই তাদের জীবনের চলাচল। গল্পের প্রায় সমস্ত চরিত্র সমাজের হতদরিদ্র, অবহেলিত, আর্থিকভাবে দুর্বল ও অন্ত্যজ এবং ব্রাত্য অংশের সব নারী, পুরুষ ও বালকবালিকা। গল্পগুলোর মধ্যে কোথাও দারিদ্র্য, অবহেলা এবং অর্থনৈতিক অসাম্যের কারণে সমাজের অবক্ষয়ের চিত্রটি যেমন ফুটে উঠেছে, আবার কোথাও দিশাহীন ভাঙানৌকার মত টাল খেতে খেতে গল্পের চরিত্রকে অন্তিমে এক আশার উত্তরণে লেখক পৌঁছে দিয়েছেন। প্রতিটি গল্পেই স্বপন পাল তাঁর চিন্তনের প্রকাশে আশায় উত্তরণের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন। প্রতিটি গল্পের শেষে লেখক পাঠককে এক অনুপম স্বস্তির মধ্যে নিয়ে আসতে পেরেছেন। এটাই লেখনির মধ্যে একটি মহৎ দিকদর্শনের ছবিকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে – পাঠক হিসাবে আমার অন্তত তাই মনে হয়েছে।
খুব সুন্দর এবং উচ্চমানের একটি ছোটগল্পের বই লেখক স্বপন পাল আমাদের উপহার দিয়েছেন। চমৎকার প্রচ্ছদে ঝকঝকে ছাপাইয়ের গুণমান মুগ্ধ করে। অত্যন্ত রুচিশীল একটি প্রকাশ। প্রকাশনা সংস্থা পালক পাবলিশার্স এবং প্রচ্ছদ শিল্পীকে এজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
– চিন্ময় ঘোষ
*****