শিকারা হচ্ছে কাশ্মীরি সভ্যতা এবং সংস্কৃতির চলমান রূপ। যাঁর প্রধান সূত্র হচ্ছে হিন্দু মুসলিম ঐক্য বা কাশ্মীরি ভাষায় যাঁকে ‘কাশ্মীরিয়ত’ বলা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয় কাশ্মীর পন্ডিত খেদাও অভিযান। যার ফলে সাড়ে তিন লক্ষ কাশ্মীরি পন্ডিতকে গৃহহারা হতে হয়েছিল। এইভাবে একের পর এক আঘাত এনে কাশ্মীরের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেওয়ার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। ধর্মীয় আগ্রাসন, অশিক্ষা আর নেশার অন্ধকারে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কাশ্মীরের সভ্যতা এবং সংস্কৃতির প্রতীক শিকারা আজ আক্রান্ত। তাই এই উপন্যাসটির নাম “ভাঙা শিকারা। খুব সাধারণ কাশ্মীরিদের অন্দরমহলে ঢুকে কাশ্মীরের আসল সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসটির মাধ্যমে।
কেমন আছেন কাশ্মীরিরা? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য দীর্ঘ বছর কাশ্মীরের ওপর গবেষণা করছি। স্থানীয় মানুষদের সাথে আলোচনা করে তাদের অভাব, অভিযোগকে গভীর ভাবে অনুভব করে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছি। কলম তো একটি শক্তিশালী অস্ত্র, এর মাধ্যমে ঘরের চারদেয়ালের মধ্যে থেকে প্রতিবাদের ঝড় তোলার চেষ্টা করে চলেছি।
“দেবশ্রী চক্রবর্তী।
Reviews
There are no reviews yet.