শুনুন, চুপি চুপি একটা কথা বলছি। কাটতি বাড়াতে এই বইটাকে আমরা সাইন্স ফিকশান থ্রিলার-টিলার কিছু একটা বলে চালানোর চেষ্টা করব। আপনি কান দেবেন না। ভাসানবাড়ি আদ্যপান্ত প্রেমের গল্প। তবে প্রেম তো-ত্রিকোণ, সরলরেখা, বিন্দু নানা রকমের হয়। এই বইতে যে প্রেমের কথা বলা আছে তা আসলে বৃত্তাকার। অতয়েব বৃত্তের ঠাঁটবাট, রুচিমর্জি না জানলে প্রেমটা ঠিক খোলসা হবে না। তাই সাইন্সের অবতারণা।
তবে চটকদার বিজ্ঞাপন, বাহারি প্রচ্ছদ কিংবা লেখকের নাম দেখে বইটা যদি একান্ত কিনেই ফেলেন তাহলেও দেওয়ালে মাথা কুটবেন না প্লিজ। বাজারচলতি চিপসের প্যাকেটে যেমন চিপস থাকে তেমন এ বইতে রহস্য-টহস্য খানিক আছে, কিন্তু ওটা কেবলমাত্র আপনাকে অন্য একটা গল্প শোনানোর অছিলা। ভিতরের সেই গল্পটা আসলে বিসর্জনের।
এবার এই বইয়ের পাতা থেকে মুখ তুলে একটু মনে করুন, শেষ যে মানুষটাকে ভাসান দিয়ে এসেছেন আপনি… অনিচ্ছা সত্ত্বেও, সবটুকু দিয়েও ধরে রাখতে পারেননি তাকে, কোনও নদীর ঘাটে, রেলস্টেশানে, চেনা রাস্তায় কিংবা ইলেকট্রিক চুল্লিতে রেখে চলে আসতে হয়েছে… জলে ফেলে দেওয়া প্রতিমার মতো তারাও সময়রেখা বেয়ে চলে গেছে দিগন্তের দিকে। তারপর আর অপেক্ষা করেননি তার জন্য। ভেবেছেন, আর কিছু তো নেই…
আছে কী নেই বিশ্বাস করুন, আমিও জানি না। তবে এই পৃথিবীর মানুষদের কারও কারও বুকের ভিতরে নিশ্চয়ই একটা ভাসানবাড়ি আছে। এমন একটা বাড়ি যেখানে বছরের পর বছর ভাঙা দালান, শুকনো পাতায় ছেয়ে যাওয়া ছাদ আর ঝুলন্ত কড়িকাঠের পাঁজরে কেউ অপেক্ষা করতে থাকে আপনার জন্য। অন্ততকাল ধরে…
– Aditi Sannigrahi
Combination of love story and space
– Tamoghna biswas
darun darun…