মহাভারতের গল্পে ভীমের কথা শুনলে আমাদের অনেকসময় মনে হয় যে লোকটা কি মাথামোটা! একটু বুদ্ধি লাগিয়ে কাজ করবে না? দুমদাম যাকে যা পারছে বলে দিচ্ছে… এত কেন অস্থিরমতি?
একটু ভেবে দেখুন তো, ভীম যখন যার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে, তার কোনোটাই কি নিজের জন্য? কখনো মায়ের জন্য, কখনো ভাই বা দাদার জন্য, আবার কখনো বা স্ত্রীর জন্য রুখে দাঁড়িয়েছে সে। আর ভীমের এই হুট্ করে রেগে যাওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু বিভিন্নসময়ে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়েছে তার কাছের মানুষেরা।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়ত ভীম না থাকলে হতোই না। শ্রীকৃষ্ণ চেয়েছিলেন এই যুদ্ধ হোক। তিনি ভীমকে ব্যবহার করেছেন অনুঘটক হিসেবে। যে মানুষটার ছোট থেকে লড়াই অন্যের জন্য, নিজের কাছের মানুষদের জন্য যে নিবেদিতপ্রাণ, সে কি যথেষ্ট ভালোবাসা পেলো তার প্রিয়জনদের থেকে? না, পায়নি। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি যে সকলে শুধু ভীমকে ব্যবহার করেছে, নির্ভেজাল ভালোবাসা লেখা ছিল না তার জন্য।
একইভাবে এ উপন্যাসে উঠে এসেছে ভূপীর কথা। অন্যের ওপর হওয়া অন্যায়ের বদলা নিতে গিয়ে যার জীবন আজ দোলাচলে। ওর এই বিপদের দিনে আদৌ কি পাশে পাবে কাউকে?
Reviews
There are no reviews yet.