সাম্প্রতিক সময়ে তান্ত্রিক মানেই প্রথমে বাঙালিদের কথা মাথায় আসে। আর যদি বাঙালি তান্ত্রিকদের প্রসঙ্গ কখনো চায়ের আড্ডায় ওঠে, তাহলে বর্তমান সময়ে শতকরা নব্বই ভাগই মুখ ঢেকে ফিকফিক করে হাসতে থাকে। বিশেষ করে অন্যান্য ভাষার চলচ্চিত্রে বাঙালি তান্ত্রিকদের যেভাবে দেখানো হয়, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অনেককেই আবার বলতেও শোনা যায়,‘ধূর,যতো সব ভন্ডামি!’
আজ কিছু ভুয়ো সাধু সন্ন্যাসীদের কারণে বাঙালি তান্ত্রিকরা সমাজে হাস্য-কৌতুকে পরিণত হয়েছেন। তবে, একটা সময় এমনটা ছিল না। সেই সময় যেমন মৃত ব্যক্তির প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়াও সম্ভব ছিল, ঠিক তেমনই সম্ভব ছিল সময়কে টেক্কা দিয়ে ভূত-ভবিষ্যতে পাড়ি দেওয়া। এর বিস্তর উদাহরণও রয়েছে। তবে সবকিছুই আজ রয়ে গেছে রাতের অন্ধকারে। একটা সময় এই তন্ত্রাচার ছিল অখন্ড বাংলার প্রাচীনতম এক বিদ্যা। আর সেই বিদ্যাকেই পাঠকদের মাঝে আজও জিইয়ে রাখতে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।