কাশী-বেনারস এবং উজ্জয়িনী, ভারতবর্ষের তীর্থক্ষেত্রগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই দুই তীর্থ। দিনের চব্বিশ ঘণ্টা মহাদেবের পূজাপাঠ হয় এই দুই তীর্থে। এই দুই তীর্থে সন্ন্যাসী আগমন সর্বাধিক। প্রত্যেক সাধক শ্মশান থেকে রাজপথে, ঘাট থেকে মন্দিরে আপনমনে শুধু শিবের উপাসনা করে চলেছেন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ মার্গে উচ্চকোটির সন্ন্যাসী।

কিন্তু কখনো কখনো এই উচ্চকোটির সাধকদের মাঝে কিছু শয়তানের আবির্ভাব হয়। সেই শয়তানের দল গুপ্তকুঠুরি প্রস্তুত করে সেখানে নানা বিরল পুজো এবং অসম্ভব সব বিদ্যাশিক্ষার ব্যবস্থা করে। নবীন সাধকেরা প্রকৃত সাধক এবং শয়তানের পার্থক্য ধরতে পারেন না। অনেকেই ধরা দেন শয়তানের জালে।

পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামে একদল উন্মাদ সন্ন্যাসীর আবির্ভাব হয়েছে। বিভিন্ন দেবী পুজোর দিন নিখোঁজ হয়ে চলেছে বহু মানুষ। প্রশাসন অবধি নড়েচড়ে বসেছে। এখান থেকেই কাহিনি এগোতে থাকে মহাকালের নিয়মে।

‘চন্দ্রহাস’-এর প্রথম পর্ব যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে রিশানের সন্ধান করতে গিয়ে রাঘব খোঁজ পেয়েছেন এরকম কিছু গুপ্তকুঠুরির। সেখানে বর্তমানে নরবলি এমনকি নারীবলির মতো ঘৃণ্য ক্রিয়া সাধিত হয়। বর্বরোচিত সেইসব ক্রিয়াদির কোনো খবর আমরা সাধারণ মানুষ জানি না। সেসব কাহিনি উন্মোচিত হবে এই উপন্যাসের মাধ্যমে। বেশ কিছু লুপ্তবিদ্যার সন্ধান দেবে এই গ্রন্থ।

শুধু ক্ষমতার লোভ কিংবা প্রতিশোধের নয়, চন্দ্রহাসের মহাকাল অধ্যায় বিবৃত করবে স্পর্ধার কাহিনি। এই স্পর্ধা মানসিক স্থিরতার, এই স্থিরতা অপূর্ণ ভালোবাসার। আর প্রতিশোধ? রাঘব এবং রিশানের।

সব মিলিয়ে সাধক ভৈরবের পুনরায় জাগ্রত হবার কাহিনি এই মহাকাল অধ্যায়।

Recently Viewed

  • Recently Viewed Products is a function which helps you keep track of your recent viewing history.
    Shop Now