অবশেষে মতি নন্দীর এ পর্যন্ত লেখা যাবতীয় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ নিয়ে ‘ছোটগল্প সমগ্র’ প্রকাশিত হল। কী কারণে এতকাল বাংলা সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ গল্পকারের সৃষ্টিসম্ভারের সযত্ন প্রকাশ ঘটেনি তা ভেবে হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পাঠকরাও বিস্মিত হবেন।
তিন দশক আগে একটি গল্পসংকলন গ্রন্থের ভূমিকা লিখতে গিয়ে সন্তোষকুমার ঘোষ সহজ ও প্রত্যক্ষ স্বীকৃতিতে মতি নন্দীকে মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরী হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। মানসিকতায় বাস্তববাদী ও নির্মেদ গদ্যের শিল্পী নিজস্ব অভিজ্ঞতায়, বিশ্লেষণের তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে এবং সীমাহীন মমতায় জীবনকে দেখেছেন। নানাভাবে জীবনকে দেখেছেন। নানাভাবে জীবনকে দেখেছেন বলেই তাঁর গল্পে বিষয়-বৈচিত্র্যের উপস্থিতি অনিবার্য ছিল। অনন্য এই জীবনের আলো-ছায়া গল্পের পটভূমি ও সামাজিক পরিস্থিতির পাশে অসামান্য কৌতুকবোধ তাঁর একাধিক গল্পকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। কোনও কোনও গল্পে রহস্যময় মনোজগতে আলোড়ন তুলেছেন জাদুকরের দক্ষতায়। মতি নন্দীর গল্প তাই একইসঙ্গে
গদ্যনির্মাণ শিল্প ও মনুষ্যচরিত্রের প্রতিচ্ছবি।
– Aditi Sannigrahi
Ok