দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন-এর পাঁচ নম্বর এবং ছয় নম্বর— এই দুই বাড়ি মিলিয়ে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। পাঁচ নম্বর বাড়ির দক্ষিণের বারান্দার তিন মহারথী গগনেন্দ্রনাথ, সমরেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ। তিন ভ্রাতাই প্রথিতযশা শিল্পী। দোতলায় দক্ষিণের টানা-বারান্দায় ছিল তাঁদের স্টুডিয়ো এবং বৈঠকখানা। শিল্পচর্চার পাশাপাশি বিচিত্র মজলিশ চলত নিত্যদিন। মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের শৈশব, কৈশোর, প্রথমযৌবন কেটেছে পাঁচ নম্বর বাড়িতে। সেই অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার আলোয় উজ্জ্বল তাঁর সুবিখ্যাত ‘দক্ষিণের বারান্দা’ গ্রন্থখানি। দাদামশায় অবনীন্দ্রনাথের সারাক্ষণের সঙ্গী ছিলেন মোহনলাল। কৈশোর স্মৃতির বর্ণনায় মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায় তাই অপরূপ করে এঁকেছেন নতুন এক অবনীন্দ্রনাথকেই। অজস্র চরিত্রের মাঝখানে সহসা উদ্ভাসিত হয়েছেন রবীন্দ্রনাথও। পাঁচ নম্বর বাড়িটি আজ আর নেই৷ ‘দক্ষিণের বারান্দা’ গ্রন্থে জেগে আছে সেই আনন্দনিকেতন আর এক অনাবিল সময়।