একদিন বসন্তে নারী এল
সঙ্গীহারা আমার মনে
প্রিয়ার মধুর রূপে।
এল সুর দিতে আমার গানে,
নাচ দিতে আমার ছন্দে,
সুধা দিতে আমার স্বপ্নে।
ভালোবেসেছি তাকে।
সেই ভালোবাসার একটা ধারা
ঘিরেছে তাকে স্নিগ্ধ বেষ্টনে
গ্রামের চিরপরিচিত অগভীর নদীটুকুর মতো।
অল্পবেগের সেই প্রবাহ
বহে চলেছে প্রিয়ার সামান্য প্রতিদিনের
অনুচ্চ তটচ্ছায়ায়।
রবীন্দ্র-জীবনের রহস্যঘন প্রহরে রোমাঞ্চিত মাধুর্য্যে এসেছেন নানা মনন ও চরিত্রের রমণীরা। তাঁদের কেউ কবির হৃদয়কে অধিকার করেছেন স্নিগ্ধ আবেশে, কেউ তাঁর মনে জ্বেলেছেন বাসনার চিরাগ, আবার কেউ হয়েছেন তাঁর শোকাতুর মুহূর্তের কাঙ্ক্ষিত উপসম।
প্রথম যৌবনের উদ্ভ্রান্ত লগ্নের প্রিয় বান্ধবী মারাঠী ললনা আনা থেকে জীবন-সূর্যের অস্তাচলের সঙ্গিনী বৈষ্ণবী হেমন্তবালা পর্যন্ত দশজন নারীর সঙ্গে ছিল তাঁর গভীর গোপন সম্পর্ক। সেই রমণীরা যদি মধ্যরাতে মেতে ওঠেন আত্ম-কথনে, তাহলে আমরা কোন্ সে রবীন্দ্রনাথকে প্রত্যক্ষ করবো?
বাংলা সাহিত্যের যে সাহিত্যিক দুঃসাহসী একক অভিযানে বারে বারে নতুন পথের পথিক হবার স্পর্ধা ও সামর্থ্য অর্জন করেছেন, সেই পৃথ্বীরাজ সেনের বিনম্র নিবেদন ‘দশ নারীর হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ’। সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে লেখা এই বইটি প্রাপ্তমনস্ক পাঠক-পাঠিকার ভাবনার আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উদ্ভাসিত থাকবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
Reviews
There are no reviews yet.