দত্তাকে শুধু প্রেমের উপন্যাস বললে এ লেখার যথার্থ মূল্য দেওয়া হয়না। এর ব্যপ্তি মানুষের মনজগতের সবটা জুড়ে। তাতে প্রেমের জায়গা যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি লোভ-লালসা, নিচুতা, অহংকার। তৃতীয় পুরুষে লেখা এ উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে বিজয়া। বাবা মাকে হারিয়ে পলোকগত বাবার বিশাল জমিদারিত্বের সব এসে পরে নিজের কাঁধে। অর্থ আর প্রতিপত্তির লোভে তাকে টেনে আনা হয় যে ভূমিতে সেখানে সে জীবনের ১৮ বছরে আসা হয়নি একটিবারও। এ গ্রাম থেকেই একদিন ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার অপরাধে চলে যেতে হইয়েছিল তার বাব-মাকে। এতদিন পরে সেখানে এসে অচেনার সাথে মানিয়ে নেওয়া, জমিদারিত্বের অলিগলি চিনে নেওয়া আর সদ্য তরুণী বিজয়ার মানুষের আলো আর অন্ধকারের সাথে পরিচয়ের মধ্যে দিলেই উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে চলে।
এ গ্রামে এসেই দেখা মেলে নরেনের। দেখা মেলে বিলাস, রাসবিহারীদের সাথে। এমন সুন্দর করে লেখা তাদের বর্ণণা, এমন মিষ্টি কিছু আলাপ আর তার মাঝে থেকে থেকে দেখা মেলে মানুষের কদঅর্যতার। মুগ্ধ হয়ে পড়েচি নরেনের চরিত্রকে। কেমন শুভ্র একটা মানুষ। অবাক হয়ে দেখেছি আঠারো বয়সী বিজয়ার সত্য, সমাজ, সংস্কারের সাথে টানাপোড়েন।
Reviews
There are no reviews yet.