তিন জগত, তিন বিস্তার, তিন অপদেবতার মিলন এক মহাজাগতিক মাহেন্দ্রক্ষণএ সৃষ্টি করবে এমন এক মহাপিশাচ যার উল্লেক বহু প্রাচীন লোকগাথাতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর বুকে যার উপস্থিতই হয় ধ্বংসের কারণ! যার অস্তিত্ব জন্ম দেয় বিনাশ আর হাহাকারের!
ঈশ্বরের তিন পুণ্যভূমি; পুরী, উজ্জৈন আর তারাপীঠ। এই তিন ধর্মক্ষেত্র থেকে মাথা তুলবে তিন মূর্তিমান শয়তান। অষ্টগ্রহ সমস্বয়; এমন এক অশুভ সময় যখন সৌরমণ্ডলের আটটি গ্রহ এক সরল রেখায় এসে যায়, তন্ত্রমতে এই সময়ে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল, এই তিন জগতের আভ্যন্তরীণ পথ হয় সবচেয়ে সুগম। ঠিক এই সময়ে মিলন হবে তিন অপশক্তির। শুরু হবে ধ্বংসলীলা। যেতে থাকবে মানুষের প্রাণ। কে দাঁড়াবে এই বিপুল অপশক্তির সামনে? কার ক্ষমতা হবে তার সমতুল্য হয়ে তার বিনাশ করার?
প্রথম খণ্ডের কাহিনী শেষ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। শান্তির তিন বছর। সময়ের চাকা ঘুরেছে দোয়েলের জীবনে। সময় লেগেছে তার জীবনের মূল ধারায় ফিরতে। একদিন ভোরে হঠাৎ পুরীর সাউথ–বীচ থানার টেবিল অফিসারের ফোন বেজে ওঠে। সাগরপাড়ে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বালি খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে এক ক্ষতবিক্ষত নরকংকাল!
উজ্জৈনের মাধবগড় শ্মশানে একদিন সকালে হঠাৎ দেখা যায় মাটি খুঁড়ে তিন বছর আগে কবর দেওয়া সদ্যজাত শিশুদের দেহাবশেষগুলিকে কে বা কারা মন্দির সম্মুখের নিমগাছের ডালগুলি থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অশনির আশঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম।
এদিকে তারাপীঠের মহাশ্মশানে চলছে এক নরমেধ মহাযজ্ঞ। এক অর্ধোন্মাদ অজ্ঞাতপরিচয় আগন্তুক দ্বারকার জল থেকে তুলে আনে এক কদাকার মূর্তি। তারপর পর পর দু’জন শ্মশানে আশ্রিত ভবঘুরের মুণ্ডচ্ছেদ করে নিজের মস্তক স্বেচ্ছায় অর্পণ করে ওই মূর্তির সম্মুখে। সেই মূর্তির একটার বদলে তিনটি মাথা!
Reviews
There are no reviews yet.