কালের প্রভাবে পরিবর্তন ঘটে জনজীবনে। প্রাণবতী নদী বিলুপ্ত হয়, অন্য স্রোতধারা বেগবতী হয়ে ওঠে। নগরীর নাম পরিবর্তিত হয়। এই উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে তেমনই এক নগর, যার ফরাসডাঙা নামটি প্রায় বিস্মৃতির অন্তরালে। একদা ‘চাঁদের নগর’ থেকে চন্দননগর, তার পরে ফরাসডাঙা। কিন্তু বর্তমানে চন্দননগর নামটিই প্রচলিত। অতীতে জলস্রোতে পরিপূর্ণ বেগবতী সরস্বতী নদীটির তীরের বিখ্যাত কিছু গ্রামকে একত্রে চন্দননগর বলা হত, মধ্যযুগে সেটিই ছিল বাণিজ্যপথ। বর্তমানে সরস্বতী নদীটি বিলুপ্তপ্রায়। কথিত আছে বিখ্যাত বণিক চাঁদ সওদাগর হুগলী বা ভাগীরথী নদীর তীরে উত্তর চন্দননগরে বোড়াইচণ্ডীর মন্দির স্থাপন করলে, বণিকদের আরাধ্যা সেই দেবীর নাম অনুসারে এই নগরটি চণ্ডীরনগর বা চন্দননগর নামে খ্যাত হয়। ১৬৮৮ সালে ফরাসি কোম্পানি মুঘল সম্রাট আওরংজেবের থেকে এই জনপদ ক্রয় করেন। ফরাসি শাসনের অধীন নগরীটি পন্ডিচেরীর সঙ্গে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার দুটি বছর পরে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই বইটিতে চন্দননগরের অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে একটি সেতু রচনার প্রয়াস আছে। আধুনিক জনজীবনের প্রেক্ষিতে চন্দননগরের বর্তমান মুখচ্ছবিটির পিছনে সেই স্বর্ণালী অতীতের অরুণ আভাটি পুনরাবিষ্কারের লক্ষ্যে এই কাহিনি তার পথ খুঁজে নিতে চেয়েছে।

Weight 0.5 kg
Dimensions 21 × 18 × 2 cm
Author Name

Binding

Hardcover

Language

Publisher

Publishing Year

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “Iti Farasdanga | Sarbani Bandyopadhyay | ইতি ফরাসডাঙ্গা | সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like…

Recently Viewed

  • Recently Viewed Products is a function which helps you keep track of your recent viewing history.
    Shop Now