‘দ্য রংরুট ‘ — শুধুমাত্র একটা পত্রিকাই নয়, বলা ভালো গুঞ্জা মিত্রের এক অন্যতম আবেগ। তার জীবনের সমস্ত কিছুকে সে বাজি রাখতেও রাজি এই রংরুটের জন্য। এমনকি তার দিদানের সাধের শিমুলতলার বাগান বাড়ি যোজনগন্ধাকেও। তাই পুরানো একটা বাড়ির প্রতি মায়া না বাড়িয়ে বাড়িটা বিক্রির উদ্দেশ্যেই একসময় গুঞ্জা তার ছোটবেলার বন্ধু কাহন আর তার লিগ্যাল অ্যাডভাইজার তিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে চলে আসে শিমুলতলায়। বাড়ির ভ্যালুয়েশনের ব্যাপারে কথা হয় একদা ভাগলপুর নিবাসী তরুণ বাস্তুকার সুবর্ণ সেনের সাথে। সুবর্ণ ইদানিং ম্যাসকট ছেড়ে দেশে ফিরে যুক্ত হয়েছে হেরিটেজ হাউস প্রকল্পে। সুবর্ণর ভাই বিতান ইতিমধ্যে যোজনগন্ধাকে রিসর্ট বানানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে। শিমুলতলায় বেড়াতে আসা ট্যুরিস্টদের জন্য।
অথচ ভাগলপুর দাঙ্গার ক্ষত বিক্ষত স্মৃতি নিয়ে বড় হতে থাকা সুবর্ণ জানে মাটির টান কি বিষম বস্তু। সে যে বিশ্বাস করে আজও যোজনগন্ধার ভেঙে পড়া ইট-কাঠ-বালি-পাথরের মাঝে নিশ্চিত এক গল্প আছে। হতে পারে তা অতীতের , হতে পারে তা আগামীর ! কিন্তু কি সেই গল্প? যা যোজন ক্রোশ দূর থেকেও আমাদের মনকে সৌরভে ভরিয়ে তুলতে পারে । —– জানতে গেলে পড়তে হবে ‘যোজনগন্ধা ‘ !
Reviews
There are no reviews yet.