কয়েক শতক ধরে বছরে আটমাস ঘর ছেড়ে মরুভূমির খরতাপ সহ্য করে লবণের চাষ করে আগারিয়ারা। কিন্তু কী অবস্থায় থাকে লবণ শ্রমিকরা। ভাতি অভিযানের নব্বই বছর পরে এ-উপন্যাসে এক অন্য স্বাধীনতা আন্দোলনের বৃত্তান্ত।
কচ্ছের রণ। এ দেশের প্রয়োজনের চব্বিশ ভাগ লবণ তোলে আগারিয়ারা। বহু শত বছর ধরে, বছরে আটমাস ঘর ছেড়ে মরুভূমিতে পড়ে থেকে জলকষ্ট, রোদের খরতাপ সয়ে লবণের চাষ করে তারা। কিন্তু বড় ব্যবসায়ীদের লবি তাদের লবণের দাম বাড়তে দেয় না। নব্বই বছর আগে ডাঙি পদযাত্রাকে মহাত্মা গান্ধী রূপ দিয়েছিলেন পূর্ণ স্বরাজ আন্দোলনের। লবণের উপর থেকে কর হটানোর দাবিতে। সেই পদযাত্রায় সঙ্গী হয়েছিল কিশোর ত্রিভুবন আগারিয়া। ব্রিটিশ পুলিশের লাঠির মারে রক্তাক্ত হয়েছিল। তার পৌত্র আজাদ লবণের জমি কর্পোরেটদের গ্রাস থেকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে বুঝতে পারে স্বাধীন ভারতের কঠিন বাস্তব। কচ্ছের রণ হল সার্ভে নম্বর শূন্য। এখানকার জমির কোনো রেকর্ড নেই। পানের জল নেই, মরুতে স্কুল বাড়ি নেই, জংলি গাধাদের অভয়ারণ্যে মানুষ কোণঠাসা। পায়ের তলার জমি বাঁচানোর লড়াইয়ে গ্রেফতার হওয়া আজাদকে খুঁজে পায় না তার স্ত্রী মঞ্জুও। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তথ্য অধিকার কর্মী নীলেশ। নির্বাচনের কলরোলে চাপা পড়ে যায় লবণ শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর। ডাণ্ডি মার্চের নব্বই বছর পর ‘‘লবণাক্ত’ উপন্যাসে লেখা হয়। অন্য এক স্বাধীনতা আন্দোলনের বৃত্তান্ত।
Reviews
There are no reviews yet.