শ্রীকণ্ঠ রাজ্যের সিংহাসনে বসলেন পুষ্যভূতি বংশের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজ্যবর্ধন। মধ্যম ভ্রাতা হর্ষবর্ধন কি অধিকার ছেড়ে দেবেন? তিনি যে বিশ্বাস করেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার থেকে কূটকৌশলে ও চাণক্যনীতিতে তিনি অধিকতর পারদর্শী। রাজ্যবর্ধনের সিংহাসন আরোহণের পূর্বে, মাতুলপুত্র ভণ্ডি রাজপুরুষগণদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, এই দুই অকালকুষ্মাণ্ড ভ্রাতৃদ্বয় মূষিকের মতো পারস্পরিক দংশনে ও উচ্চাভিলাষে শ্রীকণ্ঠের অধীশ্বর হতে চাইছে, কিন্তু শুধু রাজধানী স্থানেশ্বর নয়, সমগ্র শ্রীকণ্ঠবাসী সর্বসম্মতিক্রমে সেনাপতি মহাবাহু-কে সমগ্র জনপদের শাসকরূপে স্থির করেছেন। পরবর্তীতে মহাবাহু সম্রাট মনোনীত করেন রাজ্যবর্ধনকে। ভণ্ডি ও শীর্ষস্থানীয় অমাত্যরা এই সিদ্ধান্তকে স্বীকার করে নেন। অন্যদিকে মহাবাহুর কন্যা ললন্তিকা আর শ্রীকণ্ঠ রাজ্যের কনিষ্ঠ রাজপুত্র কৃষ্ণবর্ধন, গৌড়েশ্বর শশাঙ্কর কাছে যান এই আশা নিয়ে, মালবাধিপতি দেবগুপ্তকে নিয়ে তিনি যেন সসৈন্য শ্রীকণ্ঠ রাজ্য আক্রমণ করেন। প্রতিশ্রুতি একটিই, সিংহাসনে বসবেন হর্ষবর্ধন। ঘটনাক্রম অগ্রসর হলে দেখা যায়, কৃষ্ণবর্ধন মৃত। ললন্তিকা ধর্ষিতা। শশাঙ্ক হত্যা করেন রাজ্যবর্ধনকে। রাজ্য অধিকারের নানা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন হূন রানি মূলা, দুরাচারী তান্ত্রিক গুণাঢ্য, মানবদেব। অন্তিমে হর্ষবর্ধন চান শান্তির পুনর্বাসন। নতুন দিনের শপথ: নিজে শৈব হলেও বৌদ্ধধর্ম থেকে সমস্ত ধর্মের প্রতি থাকবেন পক্ষপাতহীন, সশ্রদ্ধ। ঐতিহাসিক এই নাটকের প্রতিটি অঙ্কে টান পড়েছে চরিত্রদের আকাঙ্ক্ষায়, সম্পর্কের সুতোয়— বারংবার।
Weight | 1 kg |
---|---|
Dimensions | 21 × 18 × 2 cm |
Author Name | |
Binding | |
ISBN | 9789354252778 |
Language | |
Pages | 120 |
Publisher | |
Publishing Year | 2023 |
Reviews
There are no reviews yet.