এ’বইয়ের কবিতাগুচ্ছ পড়লেই বোঝা যাবে এদের সৃষ্টি অর্থাৎ মুদ্রিত অক্ষরে রূপায়ণের সঙ্গে যে চরম সুখ বা bliss জড়িত, তার আস্বাদনের সঙ্গে ঐ ঊন-আশির কোনও সম্বন্ধ নেই! কবিতার পাতা উল্টোবার আগে বইটিকে উলটে পেছনের প্রচ্ছদটি দেখে নেওয়া ভাল বলে আমার মনে হয়; কেননা সেখানে কবির এক নির্মোকহীন স্বীকারোক্তি পাঠককে আরও একটু কাছে নিয়ে যায় কবিতার এবং অবশ্যই কবির। পড়া যাক্—
“সূর্য পতনের পরে পৃথিবীর অন্ধকার গাঢ়
ছায়ারা ঘনিয়ে এলে যে বেদনা একান্ত আমারও
শিরা বা ধমনী জুড়ে রৌদ্রে লুকিয়ে ছিল ত্রাসে
নিজস্ব কোটর ছেড়ে একে একে উড়ে আসে বর্ণহীন নির্বাক আকাশে।।”
যেন মনে হয় কিছু আত্মগত চিন্তা, স্বপ্ন, বেদনা-বিলাস নিভৃত অবকাশের আকাঙ্ক্ষায় বেরিয়ে এসেছে আকাশে। সে’ আকাশ বর্ণহীন কেন, কেনই বা নির্বাক—এমন প্রশ্নের প্ররোচনায় পা দেব না। কিন্তু তারা রয়ে যেতেই পারে পাঠকের মনের অগোচরে। যদিও কবিতার রসাস্বাদনে তারা ব্যাঘাত ঘটাবে না কোনওমতেই।
Reviews
There are no reviews yet.