বহমান বাক্যধারা যেন রেখার আঁচড়ে পুরোনো দিনের কার্শিয়াঙের ছবি এঁকে চলেছে এই আখ্যানে। ছবির কেন্দ্রে মা, তাঁর তিন সন্তান— তিতির, তিন্নি, বুলবুল এবং ‘বন্দী রাজকন্যা’ যশোদাদিনি, যে পালিয়ে এসেছে।
দুই রাজার কাছ থেকে। এই আখ্যান ঘিরে থাকে কার্শিয়াঙের পাহাড়-প্রকৃতি, তিন্নির ‘পাউডার ফুল’, পাকদণ্ডী পথ, ঝরণা। মানুষও যে কত রকম-
‘উপরের ঠাকুমা, তিতির-তিন্নি-বুবুলের বাবা, চিরকাকা, সন্ধ্যাদি, জনাদা, দিলীপদা, পুলুনি, আম্মা, মুকুপিসি, মীনাদি, ঢকনি দাজ্য— আরও অনেকে।
দিলীপদার চলে যাওয়া,
আপেলের চলে যাওয়া— সে এক রকমের যাওয়া। আবার কার্শিয়াঙ ছেড়ে তিতিরদের চলে যাওয়া আর এক রকমের যাওয়া। চলে যাওয়ার শুরুটা দিয়েই শেষ হয় গীতিকবিতার মতো এই আখ্যান। পেছনে পড়ে থাকে দূরবিন দারা, তিনধারিয়া, পাগলাঝোরা।
বহু যুগের ওপার থেকে কোনো এক অজানা বাতাসে ভর করে তাজা অনুপুঙ্খ কার্শিয়াঙ জয়া মিত্রের কলমে ছবির মতো উঠে এসেছে এই আখ্যানে।
Reviews
There are no reviews yet.