এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট আঠারো শতক। বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার মডেলে রাজ দরবার সাজিয়ে তুলছেন চার সমাজের অধিপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ভবানন্দ মজুমদারের উত্তরাধিকার বহন করে তিনি গোটা বংশকে গৌরব দান করতে চান। কিন্তু কীভাবে! বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার সভাকবি। কিন্তু তাঁর লেখা খুবই প্রাচীন আর সংস্কৃতে লেখা। কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্ন বাংলা ভাষা গোটা বাংলা জুড়ে রাজ করবে আর তা গড়ে উঠবে এই কৃষ্ণনগর থেকেই। চন্দননগরের দেওয়ান বন্ধু ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী যে রত্ন পাঠিয়েছেন তাকে ভরসা করে আশায় বুক বাঁধলেন কৃষ্ণচন্দ্র। প্রথম দিনেই বুঝে গেছেন এ হল খাঁটি হীরে। পুরনো সভাকবিকে সরিয়ে ভারতচন্দ্র যুগ ঘোষণা করে দিলেন তিনি। উপন্যাস ‘রায়গুণাকর’ শুধু আঠারো শতকের সমাজ, রাজনীতি, দর্শনের আলোচারিতা নয়। বাংলা সাহিত্যের নিজস্ব যুগ স্থাপনার প্রকাশও। নানা কৌণিক আলো প্রতিসরণে ঝকমক করে আছে শুরু থেকে শেষ বর্ণটি পর্যন্ত।