জীবনের রূপ দর্শন করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। শুধু বাইরের দেখা নয়, একেবারে ভেতর থেকে দেখা। কত ধরনের দেখা, কত রকমারি দৃষ্টিপাত। তাঁর নিজের ভাষায়: ‘দিন রাত্তির সতর্ক চোখে ঘুরেছি। যা দেখেছি, যেটা ভাল লেগেছে, তুলে ধরেছি।…’ জীবনের রূপ দেখতে দেখতে তিনি রূপদর্শী। কখনও বা নক্শা কখনও বা সংবাদভাষ্য, কখনও বা ঝাঁকিদর্শন, আবার কখনও কখনও তাঁর সোচ্চার চিন্তায় ত্রিকালদর্শন। রম্যরচনার অঙ্গনে পা রেখেছিলেন নক্শার ঝাঁপি হাতে নিয়ে। রেখার আঁকিবুকি, অথচ অসামান্য শিল্পকাজ। ভেতর থেকে দেখার তাগিদ নক্শার পরতে পরতে। একসময় নকশাকার থেকে ভাষ্যকারে তাঁর প্রতিসরণ ঘটে। রোজকার ঘটনা বুঝে বেছে তৈরি হয় সংবাদ, আবার সেই সংবাদকে দাগানো হয় ভাষ্যে। নক্শা কিংবা নক্শাধর্মী রচনাগুলিতে তিনি রঙ্গব্যঙ্গের অনাবিল রূপকার। সংবাদভাষ্যে রূপদর্শী আদ্যন্ত বিশ্বাস ও সচেতনতায় ভরপুর এক আত্মবিশ্বাসী, নিঃশঙ্ক মানুষ। যা কিছু ধ্রুব ও শুভ তাকে ভাষ্যের মাধ্যমে সবাইকে জানানো তাঁর দায়িত্ব। এখানে তাঁর ভূমিকা কেবল দর্শকের নয়, প্রদর্শকেরও। রূপদর্শী ছদ্মনামের আড়ালে গৌরকিশোর ঘোষ ‘জীবনের যে বহুতর রঙের ছবি’ পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, দুই খণ্ডে সেইসব অন্তর্ভেদী এবং বক্ররসে জারিত রচনাকে সংবদ্ধ করা হয়েছে। এই খণ্ডে আছে রূপদর্শীর নক্শা, সার্কাস, নাচের পুতুল, রূপদর্শীর রঙ্গ-ব্যঙ্গ, জলবত্তরলম্, কথায় কথায়, স্বর্গ যদি কোথাও থাকে, মনে পড়ে, ব্রজদার গুল্পসমগ্র এবং বিবিধ রচনা।
Reviews
There are no reviews yet.