নীলধারা পেরিয়ে চণ্ডীর পাহাড়ে গেছেন আপনারা অনেকেই আমি বলছি হরিদ্বারের কথা। কিন্তু আমরা যেভাবে প্রথম যাই সে আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না আজ। সে ১৯১৮ সালের কথা-মার্চ এপ্রিল মাস। ঐ সময়ে প্রচণ্ড শীত থাকত তখন হরিদ্বারে, কিন্তু তাতেই আমরা ঘেমে নেয়ে উঠেছিলাম-এত দুর্গম ছিল সে পথ। আদৌ কোনো পথই ছিল না। পাণ্ডার লোক নিয়ে না গেলে কোনো মতেই পাহাড়ের কোল পর্যন্ত গিয়ে সে পাদন্ডী পথ খুঁজে পেতুম না।
এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। দু ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসছে লোক, মনসার পাহাড়ে তো গাড়ি চলছে শুনতে পাই। কিন্তু যাওয়াটা সহজ হয়েছে বলেই বোধহয় আর যাওয়ার তাগিদ অনুভব করিনি। এবারে-এই বছর তিনেক আগে হঠাৎ কী মনে হলো, একবার অন্তত ওপারটা দেখে আসি না।
খাওয়া-দাওয়ার পর দুপুরবেলা বেরিয়ে পড়েছিলাম। নভেম্বর মাস, রোদটাও মিঠে লাগছিল, নতুন নরম জুতো, কড়াটাও অত কষ্ট দিচ্ছিল না, বেশ আরামেই হাঁটতে হাঁটতে ওপারে চলে গিয়েছিলাম।
চণ্ডীর পাহাড়ে ওঠার ইচ্ছা ছিল না, তা ছাড়া এই অসময়ে মন্দির খোলা পাবো কি-না কে জানে-এমনিই ওপারে গিয়ে গঙ্গার ধারে ধারে-এইটেই গঙ্গার আসল ধারা-উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটছিলাম। হঠাৎ একটা আশ্চর্য এবং অপরাহ্ণের সূর্য সামনে না থাকলে ভয়াবহ দৃশ্যের সামনে এসে পড়লাম।
Reviews
There are no reviews yet.