সাগরিকা ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেশ। – ডি করে সে কাজে যোগ দিয়েছে। পি-এইচ ডি করার আগেই সে সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়েছিল। অন্য দিকে এলাকার এস ডি পি ও মণি সদ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার র্যাঙ্ক করে আই পি এস-এর ট্রেনিং নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছে। গবেষণা করে বৈজ্ঞানিক হওয়ার স্বপ্ন তার পূরণ হয়নি। তার নিত্য নতুন ছদ্মবেশ ধরে অভিযানের সাগরিকা ভক্ত। ফলে প্রথম আলাপেই তাদের একে অপরকে ভালো লেগে গেছে। এক সময় তারা পরস্পরকে বিয়ে করার কথা দিয়েছে।
সাগরিকার বাবা এবং মাসির অমতে এ বিয়ে হতে পারেনি। মণি অভিমানে সরে এসেছে। সাগরিকার অন্য জনের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেলে তাদের সম্পর্ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মণি আর বিয়ে করেনি। সাগরিকার সঙ্গে যোগাযোগও রাখেনি। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকে। একাকিত্বের অনুভূতি থেকে নিজের জীবনের কথা উপন্যাসাকারে লিখতে শুরু করে। উপন্যাস শেষ করতে গিয়ে সাগরিকার মুখটা তার একবার দেখতে ইচ্ছে করে।
সাগরিকার এক রিসার্চ স্কলার এক সময় তার প্রয়োজনে মণির কাছে এসেছিল। তার ফোন ছিল মাসির কাছে। তাকে ফোন করে মণি সাগরিকার ঠিকানা জেনে নেয়। অসুস্থ শরীর নিয়ে মণি ঠিকানা দেখে, বাস ধরে যাত্রা করল। বাসার কাছে যেতে একটি মেয়েকে দেখল। মুখটা একেবারে সাগরিকার সেই সময়কার মতো। বুড়ো বয়সে ভীমরতির কথা ভেবে মণির মুখে একটু হাসি দেখা দিল। মেয়েটি সেই হাসির অন্য ব্যাখ্যা করল। আপত্তি করায় দুয়েকজন লোক এসে মণিকে মারধোর করলে মণি রাস্তার ওপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। প্রবল বৃষ্টির জল তার মুখ ঢেকে দিল।
সাগরিকা টিভির খবরে দেখল, মণি তার বাড়ির কাছে এসে পড়েছিল। পুলিসের লোকেরা তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাকে মৃত ঘোষণা করে। টিভির পর্দায় সাগরিকা মণির মরা মুখটা দেখতে পেল। মণি সাগরিকার মুখ এ জীবনে আর দেখতে পেল না।
Reviews
There are no reviews yet.