বললেন তারিণীখুড়ো, ‘তাঁদের একজন তো জগদবিখ্যাত। তিনি হলেন ভারতের বড়োলটি ওয়ারেন হেস্টিংস। প্রতিপক্ষের নাম। ফিলিপ ফ্রান্সিস। ইনি ছিলেন বড়োলাটের কাউন্সিলের সদস্য। হেস্টিংস কোনো কারণে ফ্রান্সিসকে একটি অপমানসূচক চিঠি লেখেন। ফ্রান্সিস তখন তাঁকে ডুয়েলে চ্যালেঞ্জ করেন। আলিপুরে এখন যেখানে ন্যাশনাল লাইব্রেরি, তারই কাছে একটা খোলা জায়গায় এই ডুয়েল হয়। ফ্রান্সিস চ্যালেঞ্জ করেছেন, ফলে তাঁরই এক বন্ধুকে জোড়া-পিস্তল জোগাড় করতে হল, এবং তিনিই “ফায়ার” বলে চেঁচালেন। পিস্তলও চলেছিল একই সঙ্গে, কিন্তু মাটিতে পড়ে জখম হয়ে পড়ল মাত্র একজনই-ফিলিপ ফ্রান্সিস। তবে সুখের বিষয় সে-জখম মারাত্মক হয়নি। ‘ইতিহাস তো হল’, বলল ন্যাপলা, ‘এবার গল্প হোক। ডুয়েলিং যখন আপনার মাথায় ঘুরছে, তখন মনে হচ্ছে, ডুয়েল নিয়ে নির্ঘাত আপনার কোনো এক্সপিরিয়েন্স আছে।
খুড়ো বললেন, ‘তোরা যা ভাবছিস, সেরকম অভিজ্ঞতা না থাকলেও, যা আছে শুনলে, তাক লেগে যাবে।
সত্যজিৎ রায়
তারিণীখুড়োর গল্পে ন্যাপলা আর তার দলবলের তাক লেগেছিল। তাক লাগবে সব পাঠকেরই। আর শুধু এই গল্পটি নয়, এই সংকলনের পঞ্চাশটি গল্পই মুগ্ধ করবে ছোট বড় সব বয়সী পাঠকদেরই।
Reviews
There are no reviews yet.