শান্তিদাদু…
তান্ত্রিক, কিন্তু খুলি নিয়ে নাচানাচি করতেন না। ভুলভাল মন্ত্র দিয়ে চমকেও দিতেন না। একদিকে যেমন শান্তিদাদু ব্যাটম্যানের ভক্ত ছিল, তেমন অন্যদিকে বিজ্ঞান ও অতি- লৗকিক রহস্য নিয়েও চর্চা করতেন। সেই শান্তিদাদু ইচ্ছে করেই আমাকে অনেক কিছু দেখান, যা মানুষের দেখা উচিত না। তখন বুঝিনি, পরে বুঝলাম সব কিছুর সুত্রপাত হয়েছিল একটি তামার পয়সা থেকে। কীভাবে একটার পর একটা ঘটনা পেঁয়াজের খোসার মতন ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে মূল ঘটনায় পৌঁছালাম, আর তাতে শান্তিদাদু কীভাবে সাহায্য করলেন, এবং শেষ যতি চিহ্নটা শান্তিদাদু ছাড়াও আরেকজন কেন টানল? সেইসব প্রশ্নের উত্তর আছে এই বইয়ে ৷ এই বইয়ে তন্ত্রের ছোঁয়া থাকলেও, তার থেকে বেশি আছে বিজ্ঞান| টাইম ট্রাভেল, ভর্টেক্স, ডাইমেনশানাল ট্রাভেল আরো অনেক কিছু। তবে এই বই প্রথমার্ধ। অনেক প্রশ্নের উত্তর এটায় থাকলেও তার বেশি প্রশ্ন নিয়ে বইয়ের শেষ হয়েছে। কারণ? পড়লেই বুঝবেন।
তন্ত্রের গল্প… সোজাসাপটাভাবে বললে বলতে হয়, এত লেখকের এত গল্পের মধ্যে আবার এক্তা তন্ত্ৰ ভিত্তিক গল্প কেন পড়বেন? সেই তো এক বিপদ আসবে, সেই এক সুপারম্যান তান্ত্রিক, আর একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে দুমদাম মন্ত্র ঝেড়ে সব বিপদ তাড়াবে। তাই না?
কিন্তু এই বই একটু অন্যরকম। এখানে অনেকগুলো সময়কালের অনেকগুলো ঘটনা একে অপরের সঙ্গে জড়িত হয়ে আছে ৷ সাধারণ মানুষদের সঙ্গে অসাধারণ কিছু ঘটেছে। সেইগুলো মাকড়সার জালের মতন জড়িয়ে আছে। সঙ্গে আছে বিজ্ঞানের প্রচুর খেলা। তন্ত্র কি বিজ্ঞানের থেকে আলাদা? কীভাবে এই ভুত-প্ৰেত -পিশাচকে বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানা যায়? সেইসব জানতে জানতে আপনারাই ঠিক করবেন, এই গল্প তন্ত্রের গল্প, নাকি সাই-ফাই অ্যাডভেঞ্চার গল্প, নাকি একটা মানুষের নিজের জীবনকে খুঁজে পাওয়ার গল্প। আপনাদের উপরে সে দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম।
Reviews
There are no reviews yet.