ভৌতিক উপন্যাস “ “ডাকাবুকো ছেলেমেয়েদের টানটান অ্যাডভেঞ্জার “নাইটহলের ব্যান্ডো” আর এক বিড়ালমানবীর ভয়াল সুন্দর রহস্যকাহিনি “নারিবানা মারিয়াम”।
ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের তিনটি উপন্যাসের সংকলন দুই মলাটের মধ্যে।
উপন্যাসগুলোর মধ্যে মিল একটাই। সৈকত মুখোপাধ্যায়ের চমকপ্রদ প্লট আর ঝরবারে ভাষার জাদুতে শেষ না করে কোনোটাই ছাড়া যাবে না।
ওরা থাকে পাতালে ক্লাস ফাইভের ছাত্র ববিন অর্থাৎ বেদব্রত সরকারকে রানিগঞ্জ ছেড়ে চলে যেতে হল বাবার নতুন চাকরির জায়গা শিমুলিয়া কোলিয়ারিতে। শিমুলিয়ার পুরোনো বাংলোয় তারা পা রাখার পর থেকেই ঘটে চলল একের পর এক আতঙ্কজনক ঘটনা। ঘরের মেঝে ফাটিয়ে উঠে এল মৃতভোজী কীটের পাল। ববিন আর তার মা অদিতির স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেল তিন চলমান মৃতদেহ যারা আবার বাস্তবেও তাদের পথ আটকে দাঁড়াল একদিন। ওরা কারা? অনেক বছর আগে রবিনের বাবা ভাস্করবাবু যখন এই শিমুলিয়া কোলিয়ারিতে চাকরি করতে এসেছিলেন, তখন এক দুর্ঘটনায় তিনজন খনি শ্রমিক কয়লার স্তূপের নীচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিল। তারাই কি আজ ফিরে আসছে প্রতিশোধ নিতে?
নাইট স্কুলের কম্যান্ডোদল : তারু, গুলে আর বকাই নামে তিনটে ছেলে আর মাস্ত এবং টুকটুকি নামে দুটো মেয়ে। ওরা সবাই বেলেঘাটা খালপোল বস্তির বাসিন্দা। পাঁচজনেরই বয়স তেরো-চোদ্দোর আশেপাশে। কেউ ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ করে, কেউ বাড়িতে বাড়িতে খবরের কাগজ বিলি করে আবার কেউ বাসন মাজে ফুটপাথের হোটেলে। ওদের পাঁচজনকে নিয়ে রিটায়ার্ড স্কুলমাস্টার মল্লার সোম নিজের বাড়িতে খুলেছেন একটা নাইট স্কুল। তাঁর স্বপ্ন, পেটের জ্বালায় পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া ওই ছেলেমেয়েগুলোকে তিনি মানুষের মতন মানুষ করে তুলবেন। কিন্তু মল্লার সোম নিজেই একদিন কিডন্যাপড হয়ে গেলেন। বৃদ্ধ মাস্টারমশাইকে অপহরণকারীদের খপ্পর থেকে নিরাপদে ফিরিয়ে কি আনতে পারবে তাঁর পাঁচ ছাত্রছাত্রী?
মারিয়ানা মারিয়ানা : ইয়েলমিং পাহাড়ের পশ্চিমদিকের ঢালে ছিল বেদিয়ানা-উপজাতিদের নিষিদ্ধ বাগান। আড়াইশো বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো বাইরের লোক সেই বাগানের ভেতরে পা ফেলল। সরিয়ে দিল কুখ্যাত ডাইনি আদিসা তিমুরা আর তার মেয়ে মারিয়ানা দিমাগখোরের সমাধিগহ্বরের মুখের পাথর। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল এক নারকীয় ঘটনাক্রম। দিমাগখোরের বিরুদ্ধে এক আশ্চর্য লড়াই শুরু করলেন এক গুহাবাসী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আর বিকুল নামে এক কিশোর। বাংলা কিশোরসাহিত্যের জগতে এমন ভয়ংকর সুন্দর উপকথা এর আগে কেউ রচনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
Reviews
There are no reviews yet.