মানব-মানবীর প্রেম। এ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর যে শাশ্বত সত্য। সব পেরিয়ে নির্ভীক যে প্রেম চির সত্য হয়ে বেঁচে থাকে, তাই বারবার প্রমাণিত হয়েছে এই তিনটি প্রেমের উপন্যাসে। বৃষ্টির ঘ্রাণ, কাছে দূরে এবং ভাঙাগড়ার দিনগুলো। তরতরে গদ্যে লেখা ভিন্ন স্বাদের তিনটি প্রেমের কাহিনি। যা কলকাতা-পুরী-রাজস্থান-নৈনিতালের পটভূমি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বহু দূরে। যেন এই সময়কাল জুড়ে। তিনটি উপন্যাসেই চরিত্রদের সঙ্গে পাঠকও আবিষ্কার করবে সম্পর্কের মধুর যে মায়া, আর সম্পর্কের আলো ও ছায়ার গল্প যা চিনিয়ে দেয় হৃদয়ের গহন এক অনাবিষ্কৃত কোণ। ‘বৃষ্টির ঘ্রাণ’ উপন্যাসে অসমবয়সি প্রেমের টানাপোড়েন পৌঁছে দেয় শাওনকে এক গন্তব্যে যেখানে পৌঁছানো তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নাতীত। দ্বিতীয় কাহিনিতে সুমনাকে নিজেকে জানতে, নিজের প্রকৃত অনুভূতিকে চিনতে পেরোতে হয়েছে অনেক চড়াই-উৎরাই। ‘ভাঙাগড়ার দিনগুলো’য় জ্যোতির্ময়কেও সম্পর্কের গোলকধাঁধায় হাঁটতে হয়েছে বহু পথ। এই সময়কার সম্পর্কের নানা জটিলতা, দ্বন্দ্ব, এই পালটে যাওয়া সময়ের নারী-পুরুষের মানসিকতা ও ভালবাসার অন্যতর প্রকাশ উপস্থিত তিনটি কাহিনিতেই। এই সংকলন এ সময়ের বিভিন্ন বয়সিদের ভালবাসার প্রতিচ্ছবি। যা সম্পর্ক, ভালবাসার মতো শব্দগুলোকে নতুন করে আবিষ্কার করে। শুধু রয়ে যায়, ‘সব ভাঙা প্রেম— অপরাজিত’।
সিজার বাগচীর জন্ম ১৯৭৭ সালে। কলকাতায়। বড় হয়েছেন হাওড়ার বালিতে। অল্প বয়স থেকে লেখালিখি শুরু। কলেজ জীবন থেকে নিয়মিত লিখছেন সংবাদপত্র এবং পত্রিকায়। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। চাকরি করেছেন ‘আনন্দলোক’ পত্রিকায়। বর্তমানে ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকার সম্পাদক। একাধিক উপন্যাস লিখেছেন আনন্দবাজার সংস্থার বিভিন্ন পত্রিকায়। পাশাপাশি ছোটগল্প লিখেছেন ‘দেশ’, ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, ‘সানন্দা’, ‘এবেলা’, ‘উনিশ কুড়ি’, ‘কৃত্তিবাস’-এর মতো পত্রিকায়। ছোটদের গল্প লিখেছেন ‘আনন্দমেলা’য়। গল্প-উপন্যাস ছাড়াও লিখেছেন নিবন্ধ, গ্রন্থ এবং চিত্র সমালোচনা, চিত্রনাট্য, প্রচ্ছদকাহিনি, ভ্রমণ, কথিকা। গ্রন্থ সম্পাদনা এবং অনুলিখনও করেছেন। করেছেন ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ। তাঁর লেখাও অনুদিত হয়েছে ভারতের অন্য ভাষায়। লেখালিখি ছাড়াও বাংলা এবং ভারতের অন্য প্রদেশের লোক সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন নিয়মিত। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সোমেন চন্দ স্মারক সম্মান এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার।
Reviews
There are no reviews yet.