পত্রলেখা মানে যে চিঠি লিখতে ভালোবাসে?
সামনের ছোট স্কুলমাঠটা অগোছালো ঝুপসি ঘাসে ঢেকে গেছে এই ক’মাসে ৷ এমন ধূসর বিকেলে সেই সবুজে বৃষ্টি পড়ছে ঝুপঝুপ। অন্যসময় হলে, ইতিউতি ম্যাড়ম্যাড়ে হলুদ ঘাস আর আচমকা বৃষ্টিতে আঠালো কাদার ছিটে লাগত স্টুডেন্টদের স্কুল ইউনিফর্মে। এরকম একটা আনইন্টারেস্টিং জমি এভাবে এই ক’দিনে হরিয়ালি খেলিয়ে দেবে, কল্পনা করা যায় নি। অন্তত দীপ্ত ভাবতে পারে নি। লোকজন তর্ক করতেই পারে—তার কল্পনাশক্তি ভালো না; তাতে দীপ্তর ছেঁড়া গেছে। বেশ তেতো হয়ে আসা চায়ের কাপ হাতে গ্রিলের ওপর ঠ্যাং তুলে দিনের মধ্যে এই মিনিট কয়েকের দার্শনিকতার পেছনে এর চেয়ে বেশি সময় দেওয়াও যা, এই বয়েসে কবিতা লিখতে চেয়ে ট্রামে কাটা পড়ার জন্য ঝোলাঝুলি করাও তাই।
কিন্তু, পত্রলেখা শব্দটার মানে কী? গুগলও পৌরাণিক চরিত্র বলে সারেন্ডার করে দিয়েছে। একটা আস্ত নামের কোনও মানে থাকবে না? দীপ্ত ঝামেলা এড়াতে নিজের মতন একটা মানে করে নেয়। ধরে নেওয়া যাক এমন কেউ যাকে পত্র লেখা হয়, মানে প্রচুর লেখা হয়। সেই ছোটবেলার কোচিং, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি থেকে হুলিয়ে ছেলেপুলেরা যাকে গদগদ প্রেমপত্র লিখেছে। ভেবেই ফিচেল একটা হাসি দিল দীপ্ত। কেমন জব্দ! এত ছেলেদের নাচিয়ে পাত্তাই না দিয়ে সেই তো দীপ্তর মতন অজ্ঞাতকুলশীল ছেলের সঙ্গে থাকতে হবে এই কদিন? একটাও পত্র না লিখে একটা মেয়ের সঙ্গে হুট করে প্রায় লিভ ইন করে ফেলা ইজ আ স্ট্রোক অফ লাক, ওয়ান মাস্ট সে!
এখনও স্পেয়ার রুমের বিছানার নোংরা চাদরটা তোলা হয় নি।
Reviews
There are no reviews yet.