‘মৎস্য বিনে ভোজনের কভু নাঞি সুখ’—সেই কবে বলেছিলেন বাঙালী কবি। যুগ পালটেছে, পালটায়নি বাঙালীর ভোজনের সুখের স্বরূপ। আজও যে-কোনও মাছ—তা সে চুনো হোক কি কুচো, পাকা হোক কি চারা—বাঙালীর দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পরমপ্রিয় উপাদান। এককালে যে-সব মাছ ঢুকত না বাঙালী হেঁশেলে, কালগতিকে তারাও দিব্যি ঠাঁই করে নিয়েছে বাজারের থলিতে। কিন্তু থলিতে ঢুকলেই তো হল না, মাছের আসল স্বাদ রান্নায়। একমাত্র রান্নার গুণেই চিতল-পেটিকে টক্কর দিতে পারে মুঠির ডালনা, রুই-ভেটকি-ইলিশের পাশে দাপটে দাঁড়াতে পারে পমফ্রেট। কিন্তু এ-যুগে সেরকম মাছরান্না শেখার সুযোগ কই? সেই সুযোগই করে দিলেন সাধনা মুখোপাধ্যায়। দশটি অধ্যায়ে সুবিন্যস্ত এই বইতে প্রায় ১৬০ রকম মাছরান্না শিখিয়েছেন তিনি। মাছ নিয়ে যত রকমারি, লাউঘণ্ট থেকে মুড়িঘণ্ট, চীনে থেকে জাপানী, মালয়েশিয়া থেকে গোয়ানিজ, পাঞ্জাবী থেকে নেপালী, কোর্মা-কালিয়া থেকে পোলাও-বিরিয়ানি, জলখাবার থেকে শুক্তো-পাতুরি—সবই এই বইতে।
সাধনা মুখোপাধ্যায়-এর জন্ম ৬ ডিসেম্বর ১৯৩৪, এলাহাবাদে। এলাহাবাদেই কেটেছে ছাত্রজীবন। ভূগোলে এম-এ। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি টি। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন, এখন যুক্ত পাক্ষিক আনন্দমেলায়। স্বামী পবিত্রকুমার মুখোপাধ্যায় কর্মব্যস্ত ইঞ্জিনিয়র। বিবাহসূত্রে প্রথমে ছিলেন দিল্লিতে। এখন উভয়েরই কর্মক্ষেত্র কলকাতায়। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আকাশকন্যা’। পরে আরও বহু কবিতাগ্রন্থ বেরিয়েছে। ছাত্রাবস্থা থেকেই ভৌগোলিক প্রবন্ধ লেখেন। ‘দিদিমণি’ ছদ্মনামে আনন্দমেলায় প্রকাশিত ভৌগোলিক প্রবন্ধ নিয়ে বেরিয়েছে ‘জানা-অজানা’ নামে একটি অতি কৌতুহলকর দু-খণ্ড কিশোরগ্রন্থ। আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে বেরুনো প্রবন্ধ নিয়ে তারও আগের বই ‘পৃথিবী ঘুরছে’। একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। কবিতার জন্য প্রতিশ্রুতি পুরস্কার তার অন্যতম।
Reviews
There are no reviews yet.