যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে মানুষ ভীষণ অসহায় হয়ে পড়ে। এরকমই এক ভয়ানক এবং মর্মান্তিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছিল ২০০১ সালের ২৬ শে জানুয়ারি গুজরাতের কচ্ছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল কচ্ছ জেলা এবং তার আশেপাশের অঞ্চলের মানুষেরা।
ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। বহু জায়গায় বহু বাড়ি, অফিস, হোটেল এমনকি হাসপাতাল ভূমিকম্পের ফলে মাটির নীচে ঢুকে যায়। ফলে বহু মানুষ মারা যান। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় ফায়ার ব্রিগেড এবং আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশি দল নেমে পড়ে উদ্ধার কার্যে। বহু মানুষকে ভূগর্ভের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়। আবার বহু মৃতদেহও ভূগর্ভের মধ্যে থেকে তোলা হয়। কচ্ছের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল স্বজন হারানোর কান্নায়।
প্রাণঘাতী সেই ভূমিকম্প ছিনিয়ে নিয়েছিল কারও ছেলে-মেয়ে, কারও বা বাবা-মা, কারও স্বামী, কারও বা স্ত্রী। আবার কেউ বা হারিয়েছিল গোটা পরিবার। আবার কেউ কেউ তিন দিন পরেও ফিরে পেয়েছিল তার প্রিয়জনকে। হ্যাঁ, বেশ কিছু অবিশ্বাস্য ঘটনাও ঘটেছিল সেই ভূমিকম্পে। এমনও দেখা গিয়েছিল অনেক মানুষ মাটির নীচে চাপা পড়েছিলেন তিন দিন, চারদিন। কিন্তু বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা তিন, চারদিন পরও এমন মানুষকেও মাটির নীচে থেকে উদ্ধার করে এনেছিলেন, যারা জীবিত ছিলেন। ভূমিকম্পে স্বজন হারানো বহু মানুষ আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি। সেই দিনটা যেন তাদের জীবনের গতিমুখটাই বদলে দিয়ে গেছে। মাটির নীচে ৭৫ ঘণ্টা উপন্যাসে এসবরে বর্ণনা যেমন আছে, তেমনি আছে এক বাঙালি যুবক আর তার গোয়ানিজ যুবতী স্ত্রীর কথা। কী ভাবে তাদের দুজনের জীবনের গতিমুখটা সেই ভূমিকম্প বদলে দিয়েছিল।
Reviews
There are no reviews yet.