ভূত আছে কি নেই, এ তর্কের শেষ নেই। থাকুক না থাকুক, একথা অনস্বীকার্য ভূতের গল্পের প্রতি সব বয়সি পাঠকেরই অদম্য আকর্ষণ। ভূত-প্রেতাত্মা, পিশাচ, অশরীরী শব্দগুলোর মধ্যেই কেমন গা-ছমছমানি শিহরন, কেমন অমোঘ কৌতূহল। স্বভাবতই পৃথিবী জুড়েই এই নিয়ে সিনেমা, গল্প কিংবা গবেষণারও শেষ নেই। সাহিত্যেও এই ভয়ংকর রসের আকর্ষণ দুর্নিবার। শেক্সপিয়ার থেকে রবীন্দ্রনাথ সকলেই কলম ধরেছেন এই রহস্য রসের আস্বাদ দিতে। বর্তমান সময়ের লেখক রাজেশ বসু বিগত কয়েক বছর ধরেই লিখে চলেছেন সাহিত্যের এই তুমুল জনপ্রিয় বিষয় নিয়ে। বাংলা ভাষায় বহু নামী পত্র-পত্রিকায় তাঁর গল্প সমাদৃত। বৈদ্যুতিন মাধ্যমেও তাঁর গল্পের ছড়াছড়ি। লেখকের অজস্র গল্পের মধ্যে বাছাই করা পঞ্চাশটি গল্প নিয়ে প্রকাশ হল এই সংকলন। গল্পগুলির চলন এমনই প্রতিটি গল্পেই পাঠক নিজেই পৌঁছে যায় কাহিনির অভ্যন্তরে। পরিণামে এমন চমকপ্রদ সমাপ্তি যে পাঠক কখনও শিহরিত হয়, কখনও বা হয় আবেগে আপ্লুত। ভূতের কাহিনিতে যা রীতিমতো বিরল। সঙ্গে রোমাঞ্চকর পটভূমি নির্বাচন, যা নিয়ানডারথাল আমল থেকে নাৎসি যুগ হয়ে হালফিলের কলকাতা, বা নিখাদ গ্রামবাংলা, অথবা আফ্রিকার অরণ্য। ভূতের গল্পে এও এক বাড়তি পাওনা।
রাজেশ বসু পরিসংখ্যান নিয়ে বিজ্ঞানের স্নাতক। চাকরি কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ-মন্ত্রকে। থাকেন দক্ষিণ কলকাতার সরকারি আবাসনে। নিয়মিত লেখালিখির শুরু ১৪১৪ সাল থেকে। ছোট এবং বড় সকলের জন্যেই লিখতে ভালবাসেন মানব মনের জটিল মনস্তত্ত্ব থেকে শুরু করে ভূত রহস্য গোয়েন্দা হাসি প্রেম অ্যাডভেঞ্চার এবং কল্পবিজ্ঞান। লেখকের কাহিনি নিয়ে নাটক করেছেন নান্দীকার, ৯১.৯ এফএম চ্যানেল প্রভৃতি জনপ্রিয় সংস্থা। উল্লেখযোগ্য সম্মাননা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার। পাখি নিয়ে উৎসাহী। বেড়াতে ভালবাসেন।
Reviews
There are no reviews yet.