Description
‘মহাভারত’, জটিল অরণ্যোপম সেই মহাকাব্য। চিরন্তন ভারতভূমির ইতিহাস, দর্শন, মনস্তত্ত্ব প্রতিফলিত যার পঙ্ক্তিতে- পঙ্ক্তিতে। বড় আশ্চর্য লাগে, ভারতের নর-নারীর জীবনধারায় আজও যেন প্রতিফলিত হয় সে পুরাণকথার ছায়া। তাই হয়তো বর্তমান সময়ের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাসের রাজদেব, যোজনগন্ধা, স্রোতস্বিনী, মেঘ, ভীষ, কিকিদের মিলিয়ে নেওয়া যায় সেই বহু শতাব্দী-প্রাচীন পৌরাণিক চরিত্রদের সঙ্গে।
মহুয়া চৌধুরীর অক্ষরজ্ঞান হওয়ার পর থেকেই গল্পের বই এক সংযমহীন নেশার বস্তু হয়ে উঠেছিল। এমনই সেই ‘বদওব্যেস’ যে স্কুলের পরীক্ষার মুখোমুখিও পাঠ্যবইয়ের আড়ালে লুকিয়ে ‘শরদিন্দু’, ‘লীলা মজুমদার’ পড়া বাদ যেত না। পড়তে পড়তেই এক সময়ে নিজে কিছু লেখার ইচ্ছে জাগে। লেখালেখির শুরুর দিকে অপ্রত্যাশিতভাবে বাণী বসুর সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর স্নেহ লেখক-জীবনের মস্ত বড় প্রাপ্তি। তাঁর উৎসাহেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত গল্প-উপন্যাস পাঠানোর শুরু। কখনও লেখা মনোনীত হয়েছে, কখনও বা অমনোনীত। আশা-নিরাশার এমন আলোছায়া পথে ক্রমাগত এগিয়ে চলার চেষ্টার মধ্যে দিয়ে রচিত এই উপন্যাস ‘ইচ্ছামৃত্যু’। যদি কোনও পাঠকের মন ছুঁতে পারে তবেই সার্থক লেখকের প্রয়াস।
Reviews
There are no reviews yet.