NISTABDHA NISHWAS

Description

আসলে ভয়ের অনুভবটা আমাদের আর পাঁচটা অনুভূতি থেকে অনেকটাই আলাদা। জানা অজানার মধ্যেকার সীমারেখাটা কোনভাবে মুছে গেলেই আমাদের মনে তৈরি হয় ভয়। কিন্তু এই ভয় আসলে কি ? ভয়ের অবস্থান আসলে আমাদের মনেই। আমাদের প্রচলিত বিশ্বাস বা তথাকথিত লৌকিকতার কনসেপ্টের থেকে আলাদা কোন ঘটনা ঘটলেই আমাদের আক্রান্ত করে একরাশ অজানা কালো ভয়। লৌকিক আর অলৌকিক জগতের প্রভেদ বড়ই সূক্ষ্ম। তেমনি খুবই সরু আমাদের জানা আর অজানার মাঝের লক্ষনরেখাটাও। তাই সকল সাধারণ মানুষের জীবনে যে কোন সময়ই ভেঙে যেতে পারে এই ঠুনকো বিভাজন রেখা। ঠিক এমনভাবেই “নিস্তব্ধ নিঃশ্বাস”-এর সকল চরিত্ররদের জীবনে একসাথে মিলেমিশে যায় ভয় আর মনস্তত্ত্বের জটিল সমীকরণ। রাকা, অর্পিতা, মালা, তুহিন, চয়ন, দয়িতা বা উদিতা এরা সবাই আধুনিক সমাজের শিক্ষিত যুক্তিবাদী মানুষ। তবুও যখন তাদের জীবনে আছড়ে পড়ে উত্তর না মেলা হাজারো প্রশ্নে ঢাকা বাস্তব তখন কি তারা স্বীকার করে নেয় অলৌকিক অশরীরী অতিপ্রাকৃতকে নাকি আধুনিক বিজ্ঞান আর জটিল মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখার কাছে পরাভূত হয় চিরাচরিত অলৌকিক-লৌকিকের প্রভেদ ? ছটি আলাদা আলাদা গল্পের প্রতিটি বুনটে রয়েছে ভয়, রহস্য আর লৌকিক-অলৌকিকের সূক্ষ্ম লড়াই এবং সম্পর্ক, প্রেম ও দৈনন্দিন জীবনের এগিয়ে চলার মাঝের মনস্তাত্ত্বিক আলো ছায়ার চুলচেরা বিশ্লেষণ । ছয় গল্পের ছয় প্রটাগোনিস্ট রাকা, উদিতা, মালা, সৌরভ, দয়িতা এবং তুহিন তাই দাঁড়িয়ে থাকে সূক্ষ্ম লৌকিকতা আর অলৌকিকতার ঝুলন্ত সীমারেখায়। আতঙ্ক কি এক্ষেত্রে শুধুই তাদের মনের অন্ধকারের অপর নাম নাকি জানার ওপারে লুকিয়ে থাকা অজানা পৃথিবীর হাতছানিই তাদের ভয়ের আসল উৎস, সেই উত্তরই প্রতিটি পাতায় খুঁজে চলে নিস্তব্ধ নিঃশ্বাস।