1 review for Tin Ronger Tin || Sayantani Putatandu
Rated 3 out of 5
Anirban (verified owner)–
১. আরও দাও প্রাণ
আলাদা ধাঁচের উপন্যাস। কবি এবং কবিতাকে ঘিরে গল্পটা ভালো লেগেছে আমার। চাটুকারিতা আর উমেদারিতার ঠ্যালায় কবিত্বের শিখরে পৌঁছনো এক কবির আত্মবিশ্লেষণ, নিজের সঠিক কবি সত্ত্বাকে বের করা। বাহ্যিক রূপ সৌন্দর্যে মোহিত, কবিতার নেশায় মত্ত এক যুবকের ভুল ভাঙা। নিজের স্ত্রী-ছেলেকে হারিয়ে সর্বহারা এক মানুষের ট্রাজিক অথচ সুখ-সমাপ্তি। তবে সবার জীবনকেই কবিতা তার ছন্দ, অনুভব দিয়ে এক সূত্রে গেথেছে।
এই উপন্যাসে লেখিকার একটা কবিতা পড়ে ভুলতে পারছি না, আর লাইনগুলো পড়েওছিলাম বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যার সময় —
জলের সাথে আমার ছায়া বলছে আমার কথা
জল বোঝে না কোনটা কথা, কোনটা প্রগলভতা
২. ছদ্মবেশী ফুল
ল্যাবে আবিস্কৃত এক মারনাস্ত্র, যা মুহূর্তে অতিমারীর আকার ধারণ করতে পারে। ফর্মুলা সমেত বস্তুটি ল্যাব থেকে একদিন চুরি যায়। তারপরের ঘটনা বললে কোনো রহস্য থাকবে না, আমার তেমন একটা ভালো লাগেনি।
৩. জীবন্ত প্রস্তুব
রাজস্থানের রাজগরের ভানগড় ফোর্ট নিয়ে লেখা, যা Haunted Palace এর তকমা পেয়েছে। রানী রত্নাবতী, তান্ত্রিক সিনঘিয়া, মাধো সিং, গুরু বালুনাথ নিয়ে লোককথা প্রচলিত। এর আগে ভানগড় palace নিয়ে 1-2 তো ভৌতিক, এডভেঞ্চারস গল্প পড়েছি। সেই palace ধ্বংস হয়ে গেলেও সেখানকার মন্দিরগুলো অক্ষত অবস্থায় থাকে। এই মন্দিরের মূর্তি চুরির কন্ট্রাক্ট পায় সুজন, দেবযানী, সুরেশরা। তারপর সেই অভিযানকে ঘিরে অলৌকিক অপ্রাকৃতিক কান্ড কারখানা। সেরকম ভয় লাগেনি, গল্পটা মোটামুটি লেগেছে, তেমন জোর পেলাম না।
Anirban (verified owner) –
১. আরও দাও প্রাণ
আলাদা ধাঁচের উপন্যাস। কবি এবং কবিতাকে ঘিরে গল্পটা ভালো লেগেছে আমার। চাটুকারিতা আর উমেদারিতার ঠ্যালায় কবিত্বের শিখরে পৌঁছনো এক কবির আত্মবিশ্লেষণ, নিজের সঠিক কবি সত্ত্বাকে বের করা। বাহ্যিক রূপ সৌন্দর্যে মোহিত, কবিতার নেশায় মত্ত এক যুবকের ভুল ভাঙা। নিজের স্ত্রী-ছেলেকে হারিয়ে সর্বহারা এক মানুষের ট্রাজিক অথচ সুখ-সমাপ্তি। তবে সবার জীবনকেই কবিতা তার ছন্দ, অনুভব দিয়ে এক সূত্রে গেথেছে।
এই উপন্যাসে লেখিকার একটা কবিতা পড়ে ভুলতে পারছি না, আর লাইনগুলো পড়েওছিলাম বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যার সময় —
জলের সাথে আমার ছায়া বলছে আমার কথা
জল বোঝে না কোনটা কথা, কোনটা প্রগলভতা
২. ছদ্মবেশী ফুল
ল্যাবে আবিস্কৃত এক মারনাস্ত্র, যা মুহূর্তে অতিমারীর আকার ধারণ করতে পারে। ফর্মুলা সমেত বস্তুটি ল্যাব থেকে একদিন চুরি যায়। তারপরের ঘটনা বললে কোনো রহস্য থাকবে না, আমার তেমন একটা ভালো লাগেনি।
৩. জীবন্ত প্রস্তুব
রাজস্থানের রাজগরের ভানগড় ফোর্ট নিয়ে লেখা, যা Haunted Palace এর তকমা পেয়েছে। রানী রত্নাবতী, তান্ত্রিক সিনঘিয়া, মাধো সিং, গুরু বালুনাথ নিয়ে লোককথা প্রচলিত। এর আগে ভানগড় palace নিয়ে 1-2 তো ভৌতিক, এডভেঞ্চারস গল্প পড়েছি। সেই palace ধ্বংস হয়ে গেলেও সেখানকার মন্দিরগুলো অক্ষত অবস্থায় থাকে। এই মন্দিরের মূর্তি চুরির কন্ট্রাক্ট পায় সুজন, দেবযানী, সুরেশরা। তারপর সেই অভিযানকে ঘিরে অলৌকিক অপ্রাকৃতিক কান্ড কারখানা। সেরকম ভয় লাগেনি, গল্পটা মোটামুটি লেগেছে, তেমন জোর পেলাম না।